×

জাতীয়

সরকারি চাকুরিজীবীদের গ্রেপ্তারে অনুমতি নিয়ে হাইকোর্টের রুল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৯, ০৩:৫৯ পিএম

সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪১(১) ধারা কেন বেআইনি, বাতিল এবং সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার(২১ অক্টোবর) জনস্বার্থে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব এবং জাতীয় সংসদের স্পিকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ ধারায় কোনো সরকারি কর্মচারীকে ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধান রয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তার সঙ্গে ছিলেন- আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মন্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। গত ১৪ অক্টোবর মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম। ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয় ১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর হবে। আইনের ৪১(১) ধারায় বলা হয়েছে, 'কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে, তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, 'একই ধরনের সুযোগ দিয়ে ২০১৩ সালে দুদক আইনের ৩২(ক) ধারা প্রণয়ন করলে জনস্বার্থে রিট করলে আদালত আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলে বাতিল ঘোষণা করেন। একই সুযোগ সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে প্রণীত উক্ত আইনের ৪১(১) ধারা আদালতের রায়ের পরিপন্থী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App