×

জাতীয়

খুলনায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ৯ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৯, ১১:০৮ এএম

খুলনায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ৯ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ
খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ৯ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মেয়েটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় নববধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ। নওগাঁয় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। নিচে এ সম্পর্কে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর খুলনা : জেলায় নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ৯ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মেয়েটিকে (১৪) গত শনিবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি শহরের শিরোমণি এলাকায়। হাসপাতালে মেয়েটির এক আত্মীয় জানান, স্থানীয় জাকির নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রায় ৬ মাস ধরে মেয়েটির সম্পর্ক চলছিল। একপর্যায়ে জাকির বিয়ের কথা বলে গত ৮ অক্টোবর মেয়েটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। ৯ দিন পর মেয়েটি খুলনা ফিরে আসে। মেয়েটি জানায়, জাকির ও তার ৭-৮ জন বন্ধু মিলে টানা ৯ দিন তাকে ধর্ষণ করে। পরে সে কৌশলে পালিয়ে খুলনায় আসে। খানজাহান আলী থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়েটিকে ফরিদপুর নিয়ে গিয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এর আগে ৯ অক্টোবর মেয়েটির বাড়ির লোকজন থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। লক্ষ্মীপুর : জেলার রায়পুর উপজেলায় নববধূকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গিয়াস উদ্দিন বেপারিকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রায়পুর থানায় পুত্রবধূ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গিয়াসকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়। একই সময় ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ জানায়, উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামের গিয়াস উদ্দিন বেপারির ছেলে কবির হোসেনের সঙ্গে একই এলাকার আমিন পাটোয়ারীর মেয়ের দুই মাস আগে বিয়ে হয়। এরপর থেকে সে শ্বশুরবাড়িতে থাকত। শুক্রবার আত্মীয়ের বাড়িতে স্বামী কবির হোসেন ও শাশুড়ি বেড়াতে যান। ওই রাতে শ্বশুরকে খাবার দিয়ে পাশের ঘরের শিশুদের নিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ওই ঘরে ঢুকে শ্বশুর গিয়াস উদ্দিন পুত্রবধূর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। সকালে ঘটনাটি পুত্রবধূ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়াস উদ্দিনকে আটক করে। শনিবার রাতে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়। হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ধর্ষক শ্বশুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় পুত্রবধূ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নওগাঁ : জেলায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় গত শনিবার সন্ধ্যায় ৩ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো উপজেলার চকরাজা গ্রামের আফাজ উদ্দীনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৬), রহিমের ছেলে মিঠু (৩৮) এবং মৃত কসতুলের ছেলে বাবু হোসেন (৪০)। ওই নারীর স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের ওই নারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বাবার বাড়ি থেকে একই হেঁটে উপজেলার স্বামীর বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে অনন্যা-বর্ষা নামের একটি চালকলের কাছে পৌঁছলে ৪ ব্যক্তি তাকে জোর করে তুলে নিয়ে রাস্তার পাশের ওই চালকলের চাতালে নিয়ে বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন পথচারীসহ ওই নারীর সৎছেলে (২৪) গোঙানির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে গেলেও সিরাজুল ইসলামকে তারা ধরে ফেলেন। ওই নারীর সৎছেলে সাংবাদিকদের বলেন, সিরাজুলকে বাড়ি নিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অপর ৩ জনের নাম জেনে নেন। তিনি বলেন, পরে সুযোগ বুঝে সিরাজুলের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে তাকে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় একটি মহল মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। ওই নারীর সৎছেলে আরো জানান, শনিবার বিকেলে ঘটনাটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে স্থানীয় নওহাটা মোড় পুলিশ ফাঁড়িকে জানায়। পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই ফরিদ ফোর্সসহ চকরাজা গ্রামে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই নারীকে উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৩ জনকে আটক করে। মহাদেবপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, এ ঘটনাটি গোপনে আপস করার চেষ্টা করছিল স্থানীয় একটি মহল। কিন্তু ঘটনাটি জানতে পেরে ওই গ্রামে গিয়ে ধর্ষিতা নারীকে উদ্ধারসহ ধর্ষণে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App