×

জাতীয়

স্পিকারের সাথে নিউইয়র্ক সিনেট প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:১৬ পিএম

স্পিকারের সাথে নিউইয়র্ক সিনেট প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন স্কলারশীপ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নিউইয়র্কে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা সে দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভুমিকা রেখে চলেছেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য সিনেটর লুইস সেপুলভেদা এর নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল স্পিকারের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ কালে তিনি এসব কথা বলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময়, বাংলাদেশের উন্নয়ন, বাণিজ্য প্রসার, নারী ক্ষমতায়ন, তৈরী পোশাকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তিনি বাংলাদেশে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল নির্মাণ, কর্ণফুলী ট্যানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ১০০ ইকোনমিক জোন স্থাপন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ২১ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতকরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বর্তমান সরকার নারীদের ক্ষমতায়নে যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দারিদ্রের হার ২১শতাংশে নেমে এসেছে। তৃণমূলের নারীদের উন্নয়নও আজ দৃশ্যমান বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশিরা নিউইয়র্ক সিটিতে বড় অবদান রেখে চলেছেন উল্লেখ করে লুইস সেপুলভেদা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত প্রতিনিধিদল নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ কার্যক্রম আরো কার্যকর ও গঠনমূলক পদ্ধতিতে অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে এ সফর করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এ সময় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সাথে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময় ও বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য তৈরী পোশাক ও খাদ্যপণ্য আমদানীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এতে প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্য সিনেটর জন ল্যু, জেমস স্কুফিস, লিরয় কমরি, কেভিন এ পার্কার এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App