×

জাতীয়

সম্রাটের সহযোগীরা এখনো অধরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৪৯ এএম

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের এক মাস পূর্তি হলেও এ কর্মকাণ্ডে জড়িত যুবলীগ নেতা সম্রাটের অনেক সহযোগী এখনো অধরা রয়েছেন। তবে তাদের ধরতে কাজ চলছে দাবি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, দেশে এখন ক্যাসিনোর কোনো অস্তিত্ব নেই। এ ছাড়াও এ ঘটনায় সন্দেহভাজনরাও নজরদারিতে রয়েছেন। ক্যাসিনো সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর মধ্যে ৯টি তদন্ত করছে র‌্যাব। বাকি মামলাগুলো সংশ্লিষ্ট থানা, সিআইডি ও গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তে যার সংশ্লিষ্টতাই মিলবে পরিচয় বিচার না করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী কিছু যুবলীগ নেতার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে নামে র‌্যাব। ওই দিনই র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এর পরই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর যুবলীগের আরেক প্রভাবশালী নেতা ও ঠিকাদার জগতের মাফিয়া জি কে শামীমকে নিকেতনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর ক্যাসিনো-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনায় আসেন সম্রাট। সে সময় ঘনিষ্ঠদের অনেকেই তাকে ছেড়ে গেলেও ছায়ার মতো ছিলেন আরমান। ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ক্যাসিনো সংক্রান্ত অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৮ জন। এ ছাড়া ২০১ জনকে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেয়া হয় তিন গডফাদারসহ শতাধিক ব্যক্তিকে। তবে ক্যাসিনো সম্রাটদের মধ্যে এখনও যারা গ্রেপ্তার হননি তাদের মধ্যে অন্যতম কাউন্সিলর সাঈদ, দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, সহসভাপতি সরোয়ার হোসেন মনা, সোহরাব হোসেন স্বপন, যুবলীগ নেতা জসীম উদ্দিন, গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক ওরফে এনু ভূঁইয়া ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়া প্রমুখ। কাউন্সিলর সাঈদ অভিযানের আগেই সিঙ্গাপুরে যান। অভিযান শুরু হওয়ায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে পরে তিনি আর দেশে ফেরেননি। সম্প্রতি তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এনামুল হক ওরফে এনু ভূঁইয়া ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব বিপুল পরিমাণ অর্থ ও টাকা উদ্ধার করে। তবে তারা পালিয়ে যান। এ বিষয়ে র‌্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম জানান, পলাতকদের ধরতে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও র‌্যাব-১ এর এই কমান্ডিং অফিসার জানান, সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সন্দেহভাজনরা তাদের নজরদারিতে রয়েছেন। তবে ঢাকায় ক্যাসিনোর অস্তিত্ব এখন নেই। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, এই মুহূর্তে বলতে পারি, ঢাকাতে কোনো ক্যাসিনোর অস্তিত্ব নেই। তবে প্রকাশ্যে জুয়া আইন ডিএমপির মধ্যে কার্যকর নেই। তাই এ বিষয়ে আইন থাকলে ভবিষ্যতে ক্যাসিনো গড়ে উঠবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App