×

জাতীয়

মুদি দোকানি থেকে কোটিপতি, সম্পদের পাহাড়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১২:১৭ এএম

মুদি দোকানি থেকে কোটিপতি, সম্পদের পাহাড়
ঢাকা উত্তরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজি তারিকুজ্জামান রাজিবের বাবা মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। রাজিব ছিলেন মুদি দোকানদার। ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর দ্রুতই তার ভাগ্য বদলাতে শুরু করে। চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হন তিনি। গড়ে তুলেছেন ঢাকায় আলিশান বাড়ি। যুবলীগের সাইনবোর্ড আর কাউন্সিলরের পদটি ব্যবহার করে এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন রাজিব। বিগত ৪ বছরে ৮-১০টির বেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি কিনেছেন।যার মধ্যে মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ, ক্রাউন প্রাডো, ল্যান্ডক্রুজার ভি-৮, বিএমডব্লিউ স্পোর্টস কার রয়েছে। গুলশান ও মোহাম্মদপুরে আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে রাজীবের। কাউন্সিলর হওয়ার পরপরই বাহিনী দিয়ে প্রচারণায় বনে যান স্বঘোষিত ‘জনতার কমিশনার’। তবে কথিত এই ‘জনতার কমিশনার’ এর বিরুদ্ধে জনতার কাছ থেকেই মাসে কোটি টাকা চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে। বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড, ফুটপাতই তার চাঁদা তোলার মূল উৎস। রাজীব মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ১ নং রোড এলাকায় পানির পাম্পের জন্য নির্ধারিত জায়গায় বাড়ি বানিয়েছেন। বাড়ির জায়গাটির দামই প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। তার ইশারাতেই রহিম ব্যাপারী ঘাটের ৩৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের অফিসটিও দখল করা। রায়েরবাগে কুরবানির পশুর হাটও নিয়ন্ত্রণ করেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ আছে। সূত্রমতে, বিগত ২০১৫ সালের কাউন্সিলর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তারেকুজ্জামান রাজীব। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমানকে হারিয়ে তিনি বিজয়ী হন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় যুবলীগের হাত ধরেই রাজনীতি আসেন। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা এক নেতাকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করায় তিনি বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। পরে কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক নেতাকে বিপুল অর্থ দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ কেনেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App