×

জাতীয়

নেতাদের অনুমতি নিয়েই ক্যাসিনো শুরু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৩০ এএম

আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের কয়েকজন সিনিয়র প্রভাবশালী নেতার অনুমতি নিয়েই ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু করেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ও ক্যাসিনো সম্রাট ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। ওইসব নেতাদের তিনি ক্যাসিনোর লভ্যাংশের ভাগ দিতেন। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন সম্রাট। জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে এসব তথ্য জানিয়েছেন সম্রাট। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া সম্রাটের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে র‌্যাব। এরপরই সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সূত্র জানায়, ১০ দিনের রিমান্ডে থাকা সম্রাটকে র‌্যাবের পক্ষ থেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ক্যাসিনো ব্যবসায় সম্রাটকে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অনেকের নামই জানিয়েছেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিকে সম্রাট র‌্যাবের গোয়েন্দাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর না দিলেও এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে। ক্যাসিনো ব্যবসায় তাকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে এমন অনেকের নাম র‌্যাবকে জানিয়েছে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের প্রভাবশালী অনেক নেতার নাম রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদকালে সম্রাট র‌্যাব কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, ক্যাসিনো ব্যবসা থেকে উপার্জিত অর্থ তিনি একা নেননি। এখন সব দোষ একা কেন নেবেন? আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মাসে মাসে ভাগ দেয়া হয়েছে। তাই তাদের সবার নাম তিনি বলতে শুরু করেছেন। ক্যাসিনো ব্যবসা চালু করার আগেই ওইসব সুবিধাভোগী নেতাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত জিকে শামীম, সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আরমান, মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা লোকমান, কলাবাগান ক্লাবের কর্মকর্তা শফিকুল ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলেও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে সম্রাট। সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচারের ব্যাপারে সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় সম্রাট অর্থ পাচারের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে এখন পর্যন্ত কত টাকা বিদেশে পাচার করেছেন সেই হিসাব দিতে পারেনি। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত সহযোগীদের ব্যাপারেও সম্রাটের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কয়েকজনের নাম জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচারের ঘটনার প্রমাণ ও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করার পর র‌্যাব এখন সম্রাটের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে একটি মামলা করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন। কয়েকদিনের মধ্যেই এই মামলাটি দায়ের করা হতে পারে। মানিলন্ডারিং আইনের মামলা হলে তা সিআইডি পুলিশ তদন্ত করবে। রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দপ্তরে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির বিষয়েও সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ওদিকে সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানের দেয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরমানের দেয়া তথ্যের ব্যাপারে সম্রাটকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App