ভোট বিষয় নয়, নাগরিকদের আগে এনআইডি চাই
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:৫৭ পিএম
বর্তমানে বয়স কমানো নিয়ে মহাসমস্যায় আছে নির্বাচন কমিশন। দেখা যাচ্ছে ৪২ বছর বয়সের লোক ২৪, ২৪ বছর বয়সের লোক ৪২ হতে চায়। অনেকে বিয়ে পাস করার পর বলে পাসই করিনি। নানা কারণে এটা করে থাকেন। এতে দেখা যায় বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের বয়সের পার্থক্য ৪-৫ বছর হয়ে যায়। বর্তমানে এটা একটা মহাসমস্যা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
তিনি বলেন, ভোট দেয়া বা ভোটার তালিকায় যুক্তের চেয়েও জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়াটাকে নাগরিকরা গুরুত্ববেশি দেন। তার কারণ জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া এখন কোনো কিছু করতে পারে না। নাগরিকরা ভোট দিতে পারুক না পারুক সেটা বিষয় নয়, বিষয়টা হলো তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে হবে। আবার প্রবাসীদের সমস্যাটা আরো বেশি। যার জন্য আমরা প্রবাসীদের এনআইডি দিতে চলেছি। তাই নির্ভূল ভোটার তালিকা তৈরি করাটা বড় চ্যালেঞ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) ইসির নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) আয়োজিত আগারগাঁওয়ে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো শিশুর জন্মের পর কিংবা কেউ মারা গেলে, সে তথ্য থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানাতে হবে-এমন একটি আইন হলে বয়স কমানো বা বাড়ানো নিয়ে সমস্যা থাকতো না। তাছাড়া মৃত ভোটার বাদ দেয়াটাও জটিল। কেউ জানান না। তাই যদি এমন আইন থাকতো জম্মালে কিংবা কেউ মারা গেলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে এমন আইন থাকতো তা হলে ভাল হতো। তিনি বলেন, থানায় এখন সেটা বলা সম্ভব কিনা, তবে চৌকিদার থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এ তথ্য দিতে পারে কিনা ভাবা দরকার।
তিনি বলেন, মৃত ভোটার বাদ দেয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জীবিত ভোটারও অনেক সময় মৃত হয়ে যায়। এটা কিভাবে হয়? এটা হলে নির্ভুল ভোটার তালিকায় নির্বাচন করা অসম্ভব।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, প্রাইমারি পরীক্ষার সনদ দিলেও বয়স ঠিক করা সম্ভব। একেবারে সঠিক বয়স দিয়ে, পিতা-মাতার নাম দিয়ে, ঠিকানা দিয়ে ভোটার তালিকা করার এখনও সময় বোধহয় আসেনি। আপনারা তবু চেষ্টা করছেন। তবে বয়স ঠিক মতো নেয়া একটি জটিল সমস্যা। এই সমস্যা আপনাদের মোকাবেলা করার পথ বের করতে হবে। সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভোটার তালিকা ও এনআইডি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একটার কারণে আরেকটার গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, এক সময় কোনো তালিকাই ছিল না। ভোটার যেয়ে বলতো ভোট দিবো। তখনও নির্বাচন হতো, ভোট দিত। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে এমন হতো। ভারতবর্ষে ভোট দেয়া শুরু হয়। পাকিস্তান আমলে ভোটাধিকারই ছিল না। প্রতিনিধিরা ভোট দিত। সে অবস্থা উন্নতি হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো উন্নতি হবে বলেও জানান তিনি।