×

জাতীয়

কাঁচামরিচের ভালো দাম পেয়ে কৃষক খুশি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৩৩ পিএম

কাঁচামরিচের ভালো দাম পেয়ে কৃষক খুশি

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় কৃষকের উৎপাদিত কাঁচামরিচ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে। সেই সঙ্গে এ উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ কাঁচামরিচ চাষ হয়েছে। একই সঙ্গে কৃষকরা মরিচের ভালো মূল্য পেয়ে খুশি। একাধিক কৃষক এমন কথা জানিয়েছেন।

প্রতিদিন সকালে ক্ষেত থেকে মরিচ তুলে কৃষকরা বিক্রির জন্য নিয়ে যান বাজারে। সেখান থেকে পাইকারদের মাধ্যমে কাঁচামরিচ বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হয়।এবার পৌরসভাসহ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ৭০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার মরিচ চাষ দ্বিগুণভাবে বেড়েছে।

সরেজমিন শনিবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত মাঠে মাঠে কৃষকরা ক্ষেত থেকে কাঁচামরিচ তুলে সেখানেই বস্তায় তুলছেন। সেখান থেকে কৃষকরা ভ্যান অথবা ভটভটিতে কাঁচামরিচ তুলে আড়তে নিচ্ছেন। আড়তে কৃষকের কাছ থেকে কেনা এসব কাঁচামরিচ বস্তায় ভরে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। প্যাকেটজাত করা এসব কাঁচামরিচ পরে ট্রাকে করে সরাসরি নেয়া হচ্ছে ঢাকায়।

উপজেলার কুন্দারহাট ও শাজাহানপুরের জামাদারপুকুর আড়তে দেখা গেছে, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে জমজমাট কাঁচামরিচের বাজার। পাইকাররা কৃষকের কাছ থেকে মরিচ কিনে বাজারেই স্ত‚প করছেন। সেখানে শ্রমিকরা এসব মরিচ পরিষ্কার করে রপ্তানির জন্য প্যাকেট করছেন। বাজারে মরিচ বিক্রি করতে আসা দুলাল হোসেন বলেন, গত বছর দাম কম হওয়ার কারণে মরিচ চাষ করে উৎপাদন খরচ ওঠেনি। এবার বিদেশে রপ্তানি হওয়ায় দাম ভালো পাচ্ছি। বিজলী মরিচ এবার বাম্পার ফলন হচ্ছে।

উপজেলার বাদলাশন গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, গত বছরে এমন সময় ক্ষেত থেকে মরিচ তুলে দাম পেয়েছি মাত্র ৬০০ টাকা। এবার দাম পাচ্ছি ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। কাঁচামরিচ বিদেশ যাওয়ার কারণেই এবার চাহিদা বেশি, দামও ভালো পাচ্ছি। ৯ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এক মাসে চার লাখ টাকার কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে। আরো তিন মাসে ১০ লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।

গোহাইল গ্রামের মো. ফজলুর রহমান বলেন, মরিচের চাষ বেশি হলে কৃষক ন্যায্য দাম পাচ্ছেন। আমি দেড় বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। সেখানে অনেক টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। গতবার লোকসান হয়েছে। এবার লাভ হচ্ছে। জামাদারপুকুর বাজারের আড়তদার আহসান আহম্মেদ বলেন, নন্দীগ্রাম ও শাজাহানপুর উপজেলা থেকে প্রতিদিন রেকর্ড পরিমাণ কাঁচামরিচ কৃষকরা বিক্রি করতে আসেন। এ বাজার থেকে প্রতিদিনই ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, পাবনা, টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। এ কারণে কৃষকরা মরিচের ভালো দাম পাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মু. মশিদুল হক জানান, কৃষি অফিসের তৎপরতায় ও দিকনির্দেশনায় কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। মরিচ চাষে আগ্রহ বেড়েছে। মরিচ ক্ষেতগুলোতে যেন কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয়, সে জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচামরিচ এ দেশের অনেক জেলাসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়ায় কৃষকরা ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন এবং লাভবান হচ্ছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App