×

পুরনো খবর

মায়ের প্রেরণায় শতাব্দী সেরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৪:৩৯ পিএম

মায়ের প্রেরণায় শতাব্দী সেরা
মায়ের প্রেরণায় শতাব্দী সেরা
বাবাহারা ৭-৮ বছর বয়সের ছেলেটি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মাকে বললো, -মা, প্রিন্সিপাল আমাকে আদর করে কিছু ক্যান্ডি দিয়েছেন। আর, তোমার জন্য এই চিঠিটা। মা চিঠিখানা খুলে পড়ে কেঁদে ফেললেন। মায়ের চোখে জল দেখে ছেলেটি বললো, -মা, তুমি কাঁদছো কেন? চোখ মুছতে মুছতে মা বললেন, -বাবা, এটা আনন্দের কান্না! বলেই ছেলেটিকে চুমু দিয়ে মা বললেন, -আমার জিনিয়াস বাবা, তোকে চিঠিটা পড়ে শোনাই। এরপর মা আনন্দের সঙ্গে চিৎকার করে স্যারের লেখার ভাষা বদলে নিজের মতো করে পড়তে লাগলেন, -ম্যাম, আপনার ছেলেটি সাংঘাতিক জিনিয়াস। আমাদের ছোট্ট শহরে ওকে শিক্ষা দেয়ার মতো শিক্ষক আমাদের নেই। তাই, যদি পারেন আপনার ছেলেকে বড় শহরে কোনো স্কুলে ভর্তি করে দিলে ভালো হয়। এই ছেলেটি একদিন বিশ্বে প্রচুর সুনাম অর্জন করবে। চিঠিটি পড়েই মা আবার তার ছেলেটিকে চুমু দিয়ে বললেন, -এই জিনিয়াস ছেলেটিকে আমি নিজেই পড়াব। হ্যাঁ, মা নিজেই শিক্ষা দিয়ে ছেলেটিকে যুক্তরাষ্ট্রের তথা সমগ্ৰ পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক বানালেন। নাম তার ‘টমাস আলভা এডিসন। বৈদ্যুতিক বাল্ব, শব্দ রেকর্ডিং, মুভি ক্যামেরা বা চলমান ছবি ইত্যাদিসহ হাজারো আবিষ্কার তাঁর। মায়ের মৃত্যর পর টমাস এডিসন একদিন সেই ছোট্ট গ্রামে মায়ের সেই ছোট্ট বাড়িতে গিয়ে ঘর পরিষ্কারের সময় স্কুলের প্রিন্সিপালের দেয়া চিঠিটা পেলেন। চিঠিটি পড়ে টমাস কেঁদে দিলেন।   চিঠিতে লেখা ছিল, -ম্যাডাম, আপনার ছেলে টমাস এডিসন একজন মেন্টালি রিটার্ডেড। সে এতোটাই নির্বোধ যে, তাকে শিক্ষা দেয়ার মতো ক্ষমতা আমাদের নেই। কারও আছে বলেও আমাদের জানা নেই। আপনার ছেলের কারণে আমাদের স্কুলটির সুনাম ক্ষুণ্ণ হবে। তাই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনার ছেলেকে স্কুল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App