×

যুক্তরাষ্ট্র

ভয়ঙ্কর মাছ স্নেকহেড, দেখামাত্রই হত্যার নির্দেশ!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:২৭ পিএম

ভয়ঙ্কর মাছ স্নেকহেড, দেখামাত্রই হত্যার নির্দেশ!
ভয়ঙ্কর মাছ স্নেকহেড, দেখামাত্রই হত্যার নির্দেশ!
ভয়ঙ্কর মাছ স্নেকহেড, দেখামাত্রই হত্যার নির্দেশ!

মাছ কী করে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে? আবার দেখামাত্রই হত্যা করতে হবে? এমনটা প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। তবে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে স্নেকহেড মাছ বিষয়ে এমন সতর্কবার্তাই দেয়া হয়েছে। দেখা মাত্রই মাছটিকে মেরে ফেলতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেন মেরে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে?

হত্যার নির্দেশের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, স্নেকহেড উঁচু মানের শিকারী প্রাণি। এর ক্ষুধা অনেক বেশি। মাছটির খাদ্য তালিকায় অন্য ছোট মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া থেকে প্রায় সবই আছে। শুধু তাই নয়, পানি ছাড়াই নিঃশ্বাস নিতে পারে স্নেকহেড মাছটি। চলাফেরাও করতে পারে। আর অনায়াসেই এক জলাশয় থেকে আরেক জলাশয়ে চলে যেতে পারে।

তাহলে এসবই কি মাছটিকে ভয়ঙ্কর হিসেবে চিহ্নিত করে? না, মাছটির ভয়াবহ দিক হচ্ছে, একবার যদি স্নেকহেড মাছটি অন্য জায়গায় পৌঁছাতে পারে তাহলে এর বিস্তার ঠেকানো খুবই মুশকিল। কেননা, মাছটির নারী প্রজাতি বছরে দশ হাজার পর্যন্ত ডিম দিতে সক্ষম। অল্প অক্সিজেনে টিকে থাকা ও ব্যাপক প্রজননের কারণে স্নেকহেড মাছদের খাদ্য হিসেবে গন্য হওয়া অন্য ক্ষুদ্র প্রাণিরা উজার হয়ে যেতে পারে। নষ্ট হয়ে যেতে পারে অন্যপ্রজাতির প্রাণিদের খাদ্য-শৃঙ্খল তথা বাস্তুসংস্থান।

স্নেকহেড মাছের ভয়ঙ্কর ‘খ্যাত’ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ইতোমধ্যেই একটি প্রামাণ্যচিত্রও বানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। সেই তথ্যচিত্রের নাম দেয়া হয়েছে ‘ফিশজিলা’। এসব বিষয় পর্যালোচনা করে স্নেকহেড বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। দেখা মাত্রই মেরে ফেলতে বলা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের এভলিউশনারি ইকোলজি এন্ড একোয়াটিক বাইয়োলোজি বিভাগের অধ্যাপক মার্টিন জেনারের মতে, এশিয়াতে মাছটির নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিমণ্ডলে সাধারণত কম অক্সিজেনপূর্ণ পরিবেশে যেমন ধানক্ষেত বা পানিতে অর্ধেক ডুবে থাকা বনাঞ্চলে বেঁচে থাকতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ন্যাচারাল রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট বা প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগ সম্প্রতি স্নেকহেড মাছের সন্ধান দিয়েছে। মাছটি দেখতে লম্বায় ৮০ সেন্টিমিটার ও চিকন এবং এর মাথা দেখতে অদ্ভূত রকম চ্যাপ্টা।

জর্জিয়া ছাড়াও ফ্লোরিডা, নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, ম্যাসাচুসেটস ও মেরিল্যান্ডে দেখা যায় স্নেকহেড মাছ। এটি মূলত চীন, রাশিয়া ও কোরিয়া অঞ্চলের মাছ। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া তথা বাংলাদেশে এ প্রজাতির মাছের নাম টাকি, শোল, গজার, চ্যাং। প্রায় এক দশক আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App