×

অর্থনীতি

লাগামহীন পেঁয়াজ, চড়া আলুর দাম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:১৭ পিএম

লাগামহীন পেঁয়াজ, চড়া আলুর দাম

ফাইল ছবি

নিত্যপণ্যের বাজারে ঝামেলা লেগেই রয়েছে। গত সপ্তাহেই চড়া দামে বিক্রি হয়েছে পেয়াঁজ। যার রেশ এখনো কাঠেনি। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বাজারভেদে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা। তার ধারাবাহিক বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম, মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পেঁয়াজ, ডিম, মুরগির পর এবার নতুন করে এতে আলুর দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা পর্যন্ত।

আর শীত আসন্ন হলেও শীতের সবজির দাম আকাশচুম্বী। ৬০ টাকার নিচে কোন ধরণের সবজি পাওয়া যায় না। অসহনীয় হয়ে উঠছে সবজি বাজার। গতকাল রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে, গোল আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৮ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১৮-২০ টাকা। অর্থাৎ বাজার ভেদে সপ্তাহের ব্যবধানে গোল আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ৭-৮ টাকা।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর স্টক (মজুদ) শেষ হয়ে আসছে। ফলে কমছে সরবরাহ। এ কারণে আলুর দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে শিগগিই বাজারে নতুন আলু আসবে। আর তখন আবারও দাম কমবে। সরবরাহ থাকলেও শীতের আগাম সবজির দাম কমছে না। প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। তবে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে মুলার দাম।

আগের সপ্তাহের মতো মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে। কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো ও গাজরের দাম এখনো চড়াই রয়েছে। পাকা টমেটো আগের সপ্তাহের মতো প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ, করলা, ঝিঙে, বরবটি, বেগুন, পটল, ঢেঁড়শ, উসি, মিষ্টি কুমড়া, ধুন্দুলসহ সব ধরনের সবজি।

গত সপ্তাহের মতো ছোট আকারের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। করলা, বরবটি, বেগুন, চিচিংগা, ঝিঙা, ধুনদলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকার মধ্যে। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, শীতের আগাম সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। শিম, কপির দাম বেশ কমেছে। এখন যদি টানা বৃষ্টি বা বন্য না হয়, তাহলে কিছুদিনের মধ্যে সব ধরনের সবজির দাম কমে যাবে। তবে ভোক্তারা বলছেন, প্রতি সপ্তাহেই কিছু না কিছু পণ্যের দাম বাড়ছে। এর আগে পেঁয়াজ, ডিমের দাম বাড়ল। আর এখন বেড়েছে আলুর দাম।

গত সপ্তাহে যে আলু ১৮ টাকা কেজি কিনেছি, এখন তা ২৫ টাকা চাচ্ছে। একের পর এক পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এভাবে দাম বাড়লে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের খুব কষ্ট হয়। হঠাৎ কোনো কিছুর দাম বাড়লে কেউ আর উচ্চবাচ্য করে না। এই দেখেন ১০০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনে খাচ্ছি। কেউ তো পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করছে না। একাধিক সবজির কেজি ১০০ টাকা, তা নিয়েও দেখেন কারও কোনো আপত্তি নেই। আসলে সবকিছুই আমাদের সয়ে গেছে।

বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০-৩৫০ টাকা কেজি। এছাড়া তেলাপিয়া ১৩০-১৬০ টাকা, পাঙাস ১২০-১৫০ টাকা, শিং ৪০০-৬০০ টাকা, কাচকি ২৫০-৩৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৬০০ টাকা, ট্যাংরা ৫৫০-৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৫৭০ টাকা, খাসি ৭০০-৮০০ টাকা, বয়লার ১৩৫-১৪০ টাকা, লাল লেয়ার ১৮০-২০০ টাকা, পাকিস্তানি কক ২৫০-২৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা ডজন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App