×

জাতীয়

গোপালপুরে ঝিনাই নদীর ভাঙ্গণে সড়ক বিলীণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ০২:১৬ পিএম

গোপালপুরে ঝিনাই নদীর ভাঙ্গণে সড়ক বিলীণ
গোপালপুরে ঝিনাই নদীর ভাঙ্গণে চার বছর আগে বিলীন হওয়া সড়কটি মেরামত না করায় মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে নিদারুন ভোগান্তি হচ্ছে। জানা যায়, উপজেলার উত্তর পাথালিয়া-কড়িয়াটা ভায়া দক্ষিন চাতুটিয়া সড়কটি ব্রিটিশ আমলে জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরী নির্মাণ করেন। ঝিনাই নদীর কোল ঘেষা এ সড়কে হাদিরা, নগদাশিমলা ও ঝাওয়াইল ইউনিয়নের বিশ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এলাকার কৃষিপণ্য হাটবাজারে নেয়ার সহজ রাস্তাও এটি। দক্ষিণ চাতুটিয়া মজিবর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর পাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝাওয়াইল মহারাণী হেমন্তকুমারী হাইস্কুল এবং ঝাওয়াইল সুরেন্দ্রবালা গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা এ পথেই যাতায়াত করে। এলাকাবাসিরা জানান, চার বছর আগে ঝিনাই নদীর ভাঙ্গনে সড়কের প্রায় এক কিলো নদীগর্ভে নিমজ্জিত হয়। সেটি আর মেরামত বা সংস্কার হয়নি। ভাঙ্গণ রোধেও নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। ফলে সড়কের পর এখন আবাদী জমি নদীতে বিলীণ হচ্ছে। চাতুটিয়া সীমান্ত বাজারে সপ্তাহে দুদিন বড় হাট বসে। সড়ক না থাকায় সকলকে ফসলী জমি, বাড়িঘরের আঙ্গিণা, গ্রামীণ বন বা জঙ্গল পেরিয়ে হাটে আসা যাওয়া করতে হয় । গৃহস্তরা অনেক সময় ফসল নষ্টের অজুহাতে পায়ে চলা পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখেন। তখন নিদারুণ দুর্ভোগ পোহায় পথচারী ও শিক্ষার্থীরা। ঝিনাই নদীর ভাঙ্গণে বিকল্প রাস্তা পেরুতে তিনচার কিলো বাড়তি রাস্তা পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হয়। এলাকার অধিকাংশ মানুষ কামার, কুমার, নাপিত, মালি, মুচি এবং বিত্তহীন হওয়ায় তাদের কষ্টে কেউ এগিয়ে অসেন না বলে অভিযোগ স্কুল শিক্ষক রমা নাথের। হাদিরা ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের তালুকদার এলাকাবাসির দুর্ভোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস জানান, দুর্ভোগের খবর তিনি শুনেছেন। শীঘ্রই তিনি স্থানটি পরিদর্শনে যাবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App