বিরলে সাবিনা হত্যাকাণ্ডে পিতা-পুত্র আটক
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০২:১৯ পিএম
বিরলে ছুরিকাঘাতে সাবিনা নামের এক স্বামী পরিত্যাক্তা নারী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বখাটে পুত্রসহ পিতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ছুরিকাঘাতের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুবরণ করেছিল ঐ নারী। ঘটনার পর হতেই ঘাতক বখাটেসহ পরিবারের লোকজন পলাতক ছিল।
থানার অফিসার ইনচার্জ এ টি এম গোলাম রসুল জানান, নিহত সাবিনার পিতা শফিকুল বাদী হয়ে বিরল থানায় ৯ নং মঙ্গলপুর ইউপি’র মোস্তফাবাদ (পাঠানপাড়া) গ্রামের মোঃ রাজা মিঞার বখাটে পুত্র বদির ওরফে বদি (২৭) ও তোফাজ্জাল হোসেন এর পুত্র রাজা মিঞাকে আসামী করে ৩০২ ও ৩৪ ধারা মোতাবেক ১৮ নং হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর ১৬ অক্টোবর বুধবার রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুশান্ত সরকার এর নির্দেশনায় বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ এ টি এম গোলাম রসুল এর পরিকল্পনায় মঙ্গলপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জাকারিয়া মন্ডল ও থানার এসআই মানিকুল ইসলাম মানিকসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স অভিযান চালিয়ে উপজেলার শহরগ্রাম ইউপি’র রতনৌর গ্রামে নানা-নানীর বাড়ীতে আত্মগোপনে থাকা বখাটে পুত্র বদি ও পিতা রাজা মিঞাকে আটক করা হয়েছে। বিকালে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মোস্তফাবাদ (খাদ্য গুদাম) গ্রামের শফিকুল এর স্বামী পরিত্যাক্তা কন্যা সাবিনা বেগম (২২) কে ১০ অক্টোবর বৃহষ্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় মোবাইল ফোনে গ্রামীণ ব্যাংক মঙ্গলপুর শাখা কার্যালয় চত্ত¡রে বিশ্রাম নেয়ার বেঞ্চে ডেকে নিয়ে ইট দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে বখাটে বদি। এ সময় আশপাশের লোকজন আসার শব্দ পেয়ে ৪ বছর বয়সী কন্যা সন্তানের মা সাবিনার পেটে ছুরি মেরে বখাটে বদি দ্রুত পালিয়ে যায়। সাবিনা ছুরিকাহত অবস্থায় কোনমতে বাজারে এসে পৌঁছলে স্থানীয় লোকজন তাঁর পিতাকে সংবাদ দেয়। পরে তাঁকে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা শংকাজনক হওয়ায় পরদিন শুক্রবার উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় সাবিনাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২ টায় সাবিনার মৃত্যু হয়। ঘটনায় বুধবার সাবিনার পিতা শফিকুল বাদী হয়ে বখাটে পুত্র ও তার পিতাকে আসামী করে বিরল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। বৃহষ্পতিবার সকালে পুলিশ লাশ ময়না তদন্ত শেষে সাবিনার পিতা শফিকুল এর নিকট হস্তান্তর করে এবং বাদ যোহর জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়।