×

আন্তর্জাতিক

গোলাম মোর্তোজার সঙ্গে ‘আজকালের’ প্রাণবন্ত আড্ডা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:২৭ পিএম

গোলাম মোর্তোজার সঙ্গে ‘আজকালের’ প্রাণবন্ত আড্ডা

নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদ মাধ্যম ‘সাপ্তাহিক আজকাল’ পত্রিকার আয়োজনে সাংবাদিক ও টকশো ব্যক্তিত্ব গোলাম মোর্তোজার সঙ্গে প্রাণবন্ত এক আড্ডা হয়ে গেল নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি হলে। স্থানীয় সময় ১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাতের এ আড্ডায় যোগ দেন স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক, মিডিয়াকর্মী, সমাজকর্মী, রাজনীতিক, নাট্য ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা।

আড্ডায় উঠে আসে রোহিঙ্গা ইস্যু, দুর্নীতি ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ড, ছাত্র রাজনীতিসহ বাংলাদেশের চলমান বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ। এ সময় সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।  সাপ্তাহিক আজকালের প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ জিকোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আড্ডা সঞ্চালনা করেন নির্বাহী সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাগর।

গোলাম মোর্তোজা বলেন, প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে জনগণকে অনেক প্রতিশ্রুতি দেন। সাংবাদিকদের কাজ হচ্ছে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করছে কিনা তা ধরিয়ে দেয়া ও তাদের সামনে তুলে ধরা। কিন্তু গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে সরকার ৫৭ ধারার মতো আইন তৈরি করেছে। এই আইনে যে কোনো সময় যে কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা যাবে। খুব অবাক লাগে একজন সাংবাদিক শব্দ লিখবে না লিখবে না তার মানদণ্ড নির্ধারণ করবেন থানার একজন এসআই।

গোলাম মোর্তজা বলেন, খুব শিগগিরই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী কোনো সমাধান হবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ যেদিন থেকে রোহিঙ্গা সমস্যার শুরু হয়েছে তখন থেকেই মিয়ানমার সব সময়ই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমধান চেয়েছে। এটা তাদের একটা কৌশল। তারা মূলত সমস্যার সমাধান না করে ঝুলিয়ে রাখতে চেয়েছে।

দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সফলতা না আসার দিক ব্যাখ্যা করে গোলাম মোর্তোজা বলেন, বহুপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সুযোগ যখন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিলো ঠিক তখন চীনের পরামর্শে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য আলোচনায় বসে। ফলে বিশ্বের যেসব দেশের নেতারা এই ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে ছিলো তাদের অনেকেই এখন নীরব ভূমিকা পালন করছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে বুয়েটছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে গোলাম মোর্তজা বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে একাধিক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টর্চার রুম, গেস্টরুম, নির্যাতন কেন্দ্র নতুন করে গড়ে ওঠেনি। এটা সরকারসহ সবাই জানে। এখন সময় এসেছে এগুলো বন্ধ করার।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ প্রসঙ্গে বলেন, ছাত্ররাজনীতি আপতদৃষ্টিতে বন্ধ করলেও পরোক্ষভাবে তা কিন্তু বন্ধ হবে না, চলবে। আমার মনে হয় আমরা রোগের চিকিৎসা না করে রোগের উপসর্গের চিকিৎসা করছি। দুর্নীতি ও ক্যাসিনো বিরোধী চলমান অভিযান নিয়েও একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন।

আড্ডায় অংশ নেন সাপ্তাহিক আজকালের সাবেক সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ, নাট্য ব্যক্তিত্ব রেখা আহমেদ, সাপ্তাহিক বর্ণমালার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শামছুদ্দীন আজাদ, বাংলা পত্রিকা ও টাইম টিভির সিইও আবু তাহের, সাপ্তাহিক বাংলাদেশের সম্পাদক ড. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক প্রবাসের সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, প্রথম আলোর উত্তর আমেরিকার আবাসিক সম্পাদক ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, লেখক সাংবাদিক আহমদ মাজহার, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার বিশেষ প্রতিনিধি মঞ্জুর আলম প্রমুখ।

আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সভাপতি হাজী আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, কম্যুউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আলী ইমাম শিকদার, গোলাম মোর্তোজার সহধর্মিনী শেগুফতা শারমিন, মূলধারার রাজনীতিক ও ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম, শো টাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম, বাংলা ভিশনের উত্তর আমেরিকা প্রতিনিধি নিহার সিদ্দিকী, মানবাধিকার সংগঠন ড্রামের সমন্বয়ক কাজী ফৌজিয়া, সময় টিভির উত্তর আমেরিকা প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান সাকী, কলামিস্ট মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, সাপ্তাহিক আজকালের বাণিজ্যিক প্রধান আবু বকর সিদ্দিক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট ইশতিয়াক রুপু, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, সাংবাদিক এনামুল হক এনাম, তোফাজ্জল লিটন, ভোরের কাগজের উত্তর আমেরিকা প্রতিনিধি শামীম আহমেদ প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App