সরকারি বাসভবনগুলোতে এখন থেকে আর গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে না। তাদের সিলিন্ডারের গ্যাস ব্যবহার করতে হবে। বরাদ্দ পাওয়ার পরও যদি কেউ বাসায় না উঠলে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে তার বরাদ্দই বাতিল করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন বাড়ি-ঘর করবে, কিন্তু গ্যাস সংযোগের জন্য বসে আছে, ইটস নট রাইট (এটা ঠিক নয়)। গ্যাস সংযোগ তোমরা আগামীতে পাবে না, এটা ধরে নাও। আমরা সিলিন্ডারে যাচ্ছি, এখান থেকে আর বোধহয় ফেরার পথ নেই। আমরা সিলিন্ডারে যাবই যাব। সুতরাং সিলিন্ডারের ব্যবহারে যাতে উৎসাহী হয়, এটা আমাদেরকে দেখতে হবে। যদি কেউ বাসার এলটমেন্ট পেয়ে না ওঠেন, নানা ছুতোয় না আসে, তবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর তার বরাদ্দই আমরা বাতিল করে দেব।’

বাসভবনের নির্দেশনায় প্রধানমন্ত্রী আরও যা বলেছেন, তা উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সকল সরকারি ভবন যত হবে, তাতে নেট বা মশারি দিতে হবে। পরিচ্ছন্নতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, সব করতে হবে। এটা নতুন আইডিয়া। ডেঙ্গু ও অন্য সবকিছুর আক্রমণ থেকে বাাঁচার জন্য এটা করতে হবে।’

এখন থেকে যত ঘর হবে, নিচতলায় গাড়ি চালক ও তাদের সহায়কদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা যেমন টয়লেট, বসা, খাওয়া, গল্প করা, নামাজের ব্যবস্থা – এসব সুযোগ-সুবিধার জন্য জায়গা রাখতে হবে। সব সরকারি বাসভবনের নিচে এই ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

সরকারি যেসব ফ্ল্যাট বানাচ্ছে, সেগুলোতে ময়লা ডিসপোজের জন্য আধুনিক, স্বাস্থ্যসম্মত ও ইউজফুল ডিসপোজাল সিস্টেম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেও জানান তিনি। আজকের একনেক সভায় আরও দুটি মেট্রোরেলের লাইন নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হাতিরঝিলের পাশ দিয়ে যাবে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘হাতিরঝিলের পাশ দিয়ে যে এমআরটি যাবে, খুব সতর্ক থাকতে হবে, হাতিরঝিলের যাতে নষ্ট না হয়। হাতিরঝিলের যে সুন্দর্য আমরা তৈরি করেছি, তাতে যেন কোনো বিঘ্ন না ঘটে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা দিয়ে এই লাইন হবে, মানুষকে কম ডিসটার্ব করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, ‘এমআরটি কোম্পানি হয়তো কোনো এক সময় শক্তিশালী হবে এবং শেয়ারবাজারেও এটি তালিকাভুক্ত হবে। ধানমণ্ডিসহ আশপাশ এলাকার জন্যও কিছু চিন্তাভাবনা করার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’