×

জাতীয়

মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সান্নিধ্যে দুবাইয়ে জিসান-রনি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ১০:১৯ এএম

বাংলাদেশের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদ মন্টি ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী তানভীরুজ্জামান খান ওরফে রনি দুবাইয়ে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সান্নিধ্য পেয়েছেন। দাউদের সহায়তায় আলী আকবর চৌধুরী নামে ভারতের রেশন কার্ড পান জিসান। পরে পান ভারতীয় পাসপোর্ট। সেই পাসপোর্টে তিনি দুবাইসহ বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়ান। রনিও একই কায়দায় পাসপোর্ট করে দুবাই পাড়ি জমান। তাদের দুজনের দুবাইয়ে বড় বিনিয়োগ রয়েছে। ২ অক্টোবর জিসান আটকের পর দাউদের সিন্ডিকেট তাকে ছাড়াতে তৎপর হয় এবং ৯ অক্টোবর জামিন মেলে। আন্ডারওয়ার্ল্ডের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ঢাকায় ক্যাসিনোকাণ্ডে নতুন করে আলোচিত জিসান দেশের ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের অন্যতম নিয়ন্ত্রক। চাঁদাবাজি ও ঠিকাদারি কাজের কমিশনের টাকা হুন্ডিসহ নানা মাধ্যমে দুবাইয়ে বিনিয়োগ করেন জিসান। সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে এলাকায় একাধিক হোটেলে ঢাকার অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে তার বৈঠক হতো। আন্ডারওয়ার্ল্ডে একে-২২ রাইফেলসহ অত্যাধুনিক অস্ত্রের জোগানে হাত রয়েছে জিসানের। মগবাজারের ত্রাস রনি একাধিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে ভারত হয়ে দুবাই গেলে জিসানের ঢাকায় অপকর্মের নেটওয়ার্ক বেড়ে যায়। দাউদ ও ছোটা শাকিলের সঙ্গে সখ্যের কারণে তারা সেখানে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও গাড়ির ব্যবসা জমিয়ে তোলেন। বিদেশে বসে তারা ঢাকায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। সূত্র আরো জানায়, দুবাইয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের ডি কোম্পানি সিন্ডিকেট অন্যতম। তার সঙ্গে সেখানকার রাজ পরিবারের সদস্য ও শীর্ষ ব্যবসায়ীদের অনেকের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। জিসান ব্যবসা ও জামিনের ক্ষেত্রে সেই সুবিধা কাজে লাগিয়েছেন। ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড দাউদ ইব্রাহিম মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের বিশে^র শীর্ষ পলাতক অপরাধীদের ২০১১-এর তালিকায় তৃতীয় স্থানে, ২০০৮ সালে ফোর্বসের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিলেন। ভারতীয় পুলিশের পলাতক অপরাধীদের তালিকায় শীর্ষে থাকা দাউদের দলে প্রায় ৫ হাজার সদস্য রয়েছে। যারা মাদক চোরাচালান থেকে শুরু করে খুন, অপহরণের মতো কাজ করে থাকে। দাউদ ইব্রাহিমের ডান হাত হিসেবে পরিচিত ছোটা শাকিল। তারা ভারত, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব অমিরাতে তৎপর। সূত্র আরো জানায়, ঢাকার অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতের সঙ্গে জিসানের সম্পর্ক মধুর। দুবাইয়ে তাদের সাক্ষাৎ হয়েছে একাধিকবার। ভারতের মুর্শিদাবাদ ও কলকাতায় জিসানের নেটওয়ার্ক রয়েছে। ঢাকার পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ও তানভীরুল ইসলামের জয়ের সঙ্গে সেখানে জিসানের একাধিক বৈঠক হয়েছে। জিসানের চিলি ও লন্ডনে যাতায়াত রয়েছে। জিসান আহমেদের হাতে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ও ডমিনিকান রিপাবলিকের পাসপোর্ট রয়েছে। এসব পাসপোর্ট নিয়ে তিনি দুবাই অবস্থান করছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App