জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ঘাঁটি ছিল ভোলার দুর্গম চরে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০১:০৭ পিএম
পুলিশের ওপর হামলাকারী আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তারা হলেন-মো. মেহেদী হাসান তামিম ও মো. আবদুল্লাহ আজমির। ওই সময় তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। হামলাকারীরা ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভোলার একটি দুর্গম চরে প্রশিক্ষণ নেয়।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ ঘটনায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনটি ব্রিফ করেন সিটিটিসি ইউনিট প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন-১৩ অক্টোবর রাত সোয়া ৮টার দিকা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অভিজান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা নব্য জেএমবি’র সামরিক শাখার সদস্য। তারা দুজনই খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়ে তারা নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়।
এ বছরের শুরুর দিকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক ফরিদ উদ্দিন রুমির ছোট ভাই জামাল উদ্দিন রফিকের নেতৃত্বে একটি সামরিক শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। এ লক্ষ্যে গ্রেপ্তারকৃতরা ফতুল্লা থানাধীন রফিকের বাসায় বোমা তৈরির একটি কারখানা তৈরি করে।
মনিরুল আরো বলেন, পরস্পর যোগসাজসে তৈরিকৃত বোমায় গত ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে ও ৩১ আগস্ট সাইন্সল্যাবে ইম্প্রোভাইজ এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) হামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। এছাড়া মালিবাগ, পল্টন ও খামার বাড়ির বোমা হামলায় ব্যবহৃত বোমা তৈরিতে বন্ধু রফিককে সহায়তা করেন।
তিনি আরো বলেন- গ্রেপ্তারকৃতরা জানায় যে, তাদের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বেই সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশের উপর আইইডি বোমা হামলা করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।