×

সাহিত্য

ভালোবাসা ছাড়া মানুষ পশুতে পরিণত হয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:০০ পিএম

ভালোবাসা ছাড়া মানুষ পশুতে পরিণত হয়

কবি হাফিজ প্রেমের বাণী শুনিয়েছেন। প্রেমই স্নেহ, প্রেমই মমতা, প্রেমই মানবতা। ভালোবেসে আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। ভালোবাসা ছাড়া মানুষ পশুতে পরিণত হয়। ফার্সি ভাষার বিশ্বখ্যাত কবি হাফিজ স্মরণে আয়োজিত স্মরণানুষ্ঠানে তার সম্পর্কে এভাবেই মন্তব্য করলেন বক্তারা।

বিশ্বখ্যাত ইরানি কবি হাফিজ শিরাজির স্মরণে সোমবার (১৪অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। হাফিজের কবিতা পাঠ, গজল পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

এর আগে হাফিজ স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মাদ রেজা নাফার, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক শিল্পী আজাদ রহমান, প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ইরানি ভিজিটিং প্রফেসর ড. কাযেম কাহদুয়ী। আলোচনা শেষে গজলশিল্পীদের সাথে সুরের মূর্ছনায় মঞ্চ মাতান বিশিষ্ট বংশীবাদক আরিফুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি সাহিত্য ও সংগীত অনুরাগীরা উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ রেজা নাফার বলেন, হাফিজ প্রায় ৭০০ বছর আগে ভারতবর্ষে মিষ্টি পাঠিয়েছিলেন। সেই সম্পর্ক আজও রয়েছে। সে কারণেই কবি হাফিজের স্মরণে ইরান ও বাংলাদেশ মানুষ একত্রিত হয়েছে। বাংলার ব্যাপারে কবি হাফিজের বিশেষ ভালোবাসা ছিল। সেই ভালোবাসা থেকেই তিনি মিষ্টি পাঠিয়েছিলে। বাংলাদেশের অনেক মানুষের সাথে ফারসি সম্পর্ক রয়েছে, তাঁরা হৃদয়ে ফারসি ভাষাকে সংরক্ষণ করে চলেছেন। আর সে কারণেই বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী ফার্সি ভাষায় শিক্ষালাভ করছেন।

ড. কাযেম কাহদুয়ী বলেন, আমরা ফারসি ভাষাভাষীরা গর্ববোধ করি যে, হাফিজ, সাদী, রুমির মতো মহাকবিরা ফার্সি ভাষায় সাহিত্য রচনা করেছেন। আমরা তাঁদের কবিতার রস আস্বাদন করতে পারি। হাফিজ এমন একজন কবি ছিলেন যিনি তাঁর কবিতায় বার বার কোরআনকে ব্যবহার করেছেন। যে গুপ্তধন তিনি ব্যবহার করেছেন তা হলো রাত বা ভোরের সময়ে দোয়া করা। এজন্য হাফিজকে জানতে কোরআন, হাদিস ও ইরানের পৌরাণিক কাহিনী সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা থাকতে হবে।

আজাদ রহমান বলেন, কেবল বাংলা বা উপমহাদেশের জন্য নয়, বরং সারা বিশ্বের জন্য হাফিজের প্রয়োজন। তিনি প্রেমের বাণী শুনিয়েছেন আমাদের। হাফিজের জন্ম ১৩১৫ সালে। আর তিনি ইন্তেকাল করেন ১৩৯০ সালে। অর্থাৎ প্রায় ৭০০ বছর ধরে তাঁর রচনা আমাদের মধ্যে রয়েছে। তিনি অসাধারণ গজল রচনা করেছেন। সাদীর হাত ধরে গজল এসেছে। আর হাফিজ প্রচুর মিষ্টি গজল রচনা করেছেন। গজল সংগীতে মধ্যপ্রাচ্য ও ইরানের গজলের ব্যাপক প্রভাব ছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App