×

বিনোদন

সাতের মাহির সতর্কতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০১:৩১ পিএম

সাতের মাহির সতর্কতা
মাহিয়া মাহির ক্যারিয়ারের সাত বছর হলো। ‘ভালোবাসা রঙ’ দিয়ে ২০১২ সালে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক। সব ব্যাপারেই প্রথমদিকের তুলনায় বর্তমানের মাহি অনেক বেশি সচেতন। তার সচেতনতার ছাপ দেখা যাচ্ছে ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও। জানাচ্ছেন আহমেদ জামান শিমুল
সাত বছর আগে অক্টোবরের পাঁচ তারিখ ‘মাহিয়া মাহি’ হয়ে যখন পর্দায় এসেছিলেন, তখন অনেক উত্তেজিত ছিলেন। নিজেকে রুপালি পর্দায় দেখে মনে হয়েছিল, এটা বুঝি আমি না অন্য কেউ। সে উত্তেজনা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু তা হয়নি। ‘এখনো আমি সিনেমা হলে নিজের ছবি দেখতে গেলে অনেক বেশি ভয়ে থাকি। দর্শক বুঝি আমার ছবি দেখবে না। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তারা এখনো আমাকে দেখতে হলে যায়। এটা আমার পরম পাওয়া’ সহজ সরল উক্তি মাহির। প্রথমদিনের তুলনায় মানুষ তাকে বেশি চিনে। আগের তুলনায় দর্শকের রুচিও অনেক বদলেছে। তারা অধিক সচেতন। যেনতেন কাজ করে তাদের বুঝ দেয়া সম্ভব না। এ বিষয়গুলো মাহির মাথায়ও আছে। তাই তো চলতি বছরে সাইন করেছেন মাত্র একটি ছবিতে। ‘স্বপ্নবাজী’তে কাজের বিষয়টি চূড়ান্তের আগে কয়েক মাস ধরে মিটিং করেছেন পরিচালক রায়হান রাফি ও প্রযোজকের সঙ্গে। গল্প শুনেছেন, চরিত্রের লুক নিয়ে নিরীক্ষা করেছেন। বাস্তবের সুপারস্টার নায়িকা এই ছবিতেও তাই। নিজেকে বর্তমানে সিনেমাটির জন্য প্রস্তুত করছেন। বরাবরের মতোই এ প্রস্তুতি অন্য আর দশজনের মতো আটঘাট বেঁধে প্রস্তুতি না। তার ভাষ্যে, আগেও বলেছি, এখনো বলি আমি নিয়ম করে কোনো কিছু করতে পারি না। যখন যা ভালো লাগে তা করি। সিনেমার ক্ষেত্রে আমি হচ্ছি ডিরেক্টরস আর্টিস্ট। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে উনি যেভাবে বলেন তা করার চেষ্টা করি। তবে মনে মনে একটা প্রস্তুতি তো থাকেই। নিয়মিতই দেশ-বিদেশের সিনেমা দেখেন। নিজের রুমে লাগানো বিশাল স্ক্রিনে দিনের অধিকাংশ সময় ইউটিউব, নেটফ্লিক্সে ঢুঁ মারেন। আর টিভি পর্দায় নিজের আইডল শাবনূরের ছবি হলে দৃষ্টি ওই চ্যানেলেই আটকে থাকে। মাহি বলেন, তার সবকিছু আমার ভালো লাগে। কোনো কিছুই খারাপ লাগা নেই। অনেকে তাকে এ যুগের শাবনূর বলেন। কিন্তু অভিযোগ জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে বের হয়ে বাইরে কাজ শুরুর পর অনেকগুলো ‘বাজে ছবিতে’ অভিনয় করেছেন। তার জবাব ‘জাজে থাকতে তারা আমাকে ছবি নির্বাচনেই সহায়তা করেছে। সারাক্ষণ সবকিছুতে গাইডলাইন পেয়েছি। এরপর যখন আমি নিজেকে একা কাজ করা শুরু করি তখন এটা ঠিক আমার ছবি নির্বাচনে কিছু ভুল ছিল। তবে সব যে ভুল ছিল তা বলব না। অনেকগুলো ভালো ছবিও মুক্তি পেয়েছে জান্নাত, তুই শুধু আমার, কৃষ্ণপক্ষ কিংবা ঢাকা অ্যাটাক। তা ছাড়া কাজ করছি ‘আনন্দ অশ্রু’র। এটি নিয়েও আমার অনেক আশা।’ রাফির ‘স্বপ্নবাজি’ ছাড়া গত এক বছরে অনেক ছবির অফার এসেছে। কিন্তু নায়ক কিংবা গল্প পছন্দ না হওয়ায় করেননি মাহি। ‘এখন থেকে এমন ছবি করব যা করলে আমি নিজে সন্তুষ্ট থাকতে পারব।’ গেল ১৩ সেপ্টেম্বর চালু করেছেন তার নিজের ফ্যাশন হাউস ‘ভারা’। উত্তরায় বড় করে শো-রুম করার ইচ্ছে থাকলেও, আপাতত তা থেকে সরে এসেছেন। আপাতত ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে এর কার্যক্রম চলছে। শীর্ষ এ নায়িকা জানেন একদিন না একদিন এই শীর্ষ স্থান থাকবে না। সে দিন চলার মতো আয়ের একটা উৎস থাকা দরকার। তাই তো আগে থেকে নাকি তার ‘বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে যাওয়া। তাছাড়া তিনি পড়াশোনা করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের ওপর। সে পড়াশোনা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন এ হাউসটির মাধ্যমে। এখানকার পোশাক নির্বাচনেও নিজের সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App