বন্যা হলেও পরিচ্ছন্ন জাপানের শহর
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৪:৪১ পিএম
জাপানে কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় টাইফুনের আঘাতে প্লাবিত হয়ে যায় টোকিও শহর। ছবি: বিবিসি।
বন্যা প্লাবিত এলাকায় পরিষ্কার পানি। ছবি: বিবিসি।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে জাপানের প্রশংসা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। তবে সাম্প্রতিক টাইফুনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া জাপানের পরিচ্ছন্নতার চিত্র দেখলো বিশ্ব। ৪৮ ঘন্টার বৃষ্টির সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়া ঝড়ের কারণে ফুজি মাউন্টের নিকটে হাকোন শহরে প্রায় ১ মিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে বন্যার কবলে পরে শহরটি। তবে পরিষ্কার ছিল বন্যার সেই পানি। প্লাবিত এলাকায় ছিলনা কোন ময়লা, আবর্জনা কিংবা কোন নোংরা পানি। বন্যার কারণে আশেপাশের নদীগুলো আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে অন্তত ১৪টি পৃথক স্থান ডুবিয়ে দেয়।
[caption id="attachment_169311" align="aligncenter" width="700"] জাপানে কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় টাইফুনের আঘাতে প্লাবিত হয়ে যায় টোকিও শহর। ছবি: বিবিসি।[/caption]
জাপানের উপর দিয়ে কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় টাইফুন ‘হাগিবিস’ বয়ে যায় গত শুক্র ও শনিবার (১১ ও ১২ অক্টোবর)। প্রায় ২২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বাতাসের গতিবেগ দিয়ে আঘাত হানে ঝড়টি। এতে দেশটিতে বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় আশেপাশের শহরগুলো। তবে ঝড়ের ধ্বংসযজ্ঞের পরবর্তী ছবিগুলো সাধারণ চিত্র থেকে একটু ভিন্ন।
[caption id="attachment_169376" align="aligncenter" width="700"] ঝড়ের পরে ধ্বংসযজ্ঞ সরিয়ে নিচ্ছে জাপানের নাগরিকরা। ছবি: বিবিসি।[/caption]
জাপানিদের দেখা যায় ঝড়ের পরে তারা নিজেরাই তাদের বাড়ির ভেঙে যাওয়া অবশিষ্ট অংশগুলো সরিয়ে নিচ্ছে। পরিস্কার করছে আশেপাশের রাস্তাগুলো। হয়তো পরেরদিনের সোনালী সকালে কেউ বুঝবেও না কয়েক ঘন্টা আগে ঘটে যাওয়া হাগিবিসের নির্মম ছোবলের কথা। ইতিমধ্যেই টোকিওর আশেপাশে বন্যার প্রতিরক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে যার ফলে নদীর পানি কিছুটা কমে আসতে শুরু করেছে।
[caption id="attachment_169377" align="aligncenter" width="700"] আশেপাশের প্লাবিত রাস্তা পরিস্কার করছে জাপানিরা। ছবি: বিবিসি।[/caption]
শনিবার (১২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টার দিকে টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমে ইজু উপদ্বীপ দিয়ে প্রবেশ করে পূর্ব উপকূলের দিকে চলে যায় টাইফুন হাগিবিস। এই ঝড়ের আঘাতে প্রায় পাঁচ লাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পরে। জানা যায় হাগিবিস উত্তর দিকে এগোচ্ছে এবং রবিবারের পরে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সরকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯ জন নিহতের মধ্যে কয়েকজন ভূমিধসের কবলে পড়ে এবং অন্যরা বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গাড়িতে আটকা পড়ে মারা জায়। আরও ১৫ জন নিখোঁজ হিসাবে তালিকাভুক্ত এবং কয়েক ডজন লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরো পড়ুন: