আবরার হত্যায় তারকাদের প্রতিবাদ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০১:২৬ পিএম
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারকারাও। অনেকেরই ফেসবুকের ওয়াল জুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। কয়েকজনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে মেলার এ প্রতিবেদনইলিয়াস কাঞ্চন চিত্রনায়ক ও চেয়ারম্যান (নিসচা) যেখানে মেধার চর্চা হয় সেখানে প্রাণহরণ কখনই কাম্য হতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত ও হৃদয়বিদারক। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় এই ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা ও সহমর্মিতা আশা করছি। দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম‚হে যাতে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত এবং এমন মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মহলের হস্তক্ষেপও কামনা করছি। শিক্ষায় জাতির মেরুদণ্ড। সেই মেরুদণ্ডে যদি ঘুনপোকায় আক্রমণ করে মেধার ক্ষয় করে, সেখানে মেধাবীদের মেধার বিকাশ ঘটে না। এ ধরণের অবস্থা অভিবাবক সমাজকে আতঙ্কিত করে তুলবে। আমরা সকল ধরণের আশঙ্কা ও আতঙ্কমুক্ত শিক্ষাঙ্গণ চাই। মেহের আফরোজ শাওন অভিনেত্রী বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ছিল আবরার। আবরারের কথা ভাবি আর আমার পুত্রদ্বয়ের মুখের দিকে তাকাই। আমার বুক কাঁপে। বাচ্চা দুটোর পিঠ হাত-পা’র ওপর হাত বুলিয়ে দেই। ছোটবেলায় এরকম ছোট ছোট হাত পা-ই তো ছিল আবরারের! তার মা কত রাত পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে তাকে! একেকটা আঘাতে ছেলেটা কি ‘মা গো’ বলে চিৎকার দিয়েছিল? ‘মা গো’ ডাক শুনে খুনি ছেলেগুলোর কি একটুও নিজের মার কথা মনে পড়েনি। ঠিক কতবার। কতক্ষণ ধরে, কতটুকু আঘাত করলে ২০-২১ বছরের একটা তরুণ ছেলে মরেই যায়। আমি আর ভাবতে পারি না। নুসরাতকে ভুলে গিয়েছি। আবরারকেও ভুলে যাব বিচার চাই বলে লাভ আছে কিনা জানি না তবুও বিচার চাই। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মাতা এই সমাজই তো আমরা সবাই মিলে বানাচ্ছি, নাকি? যেখানে আমার মতের বিরোধী হলে তাকে নির্মূল করা আমার পবিত্র দায়িত্ব! আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় নেতারা সবাই মিলে তো এত বছর এই কামই (কাজ) করছি, এই ভাবেই একটা প্রজন্ম বানাইছি! আমি অভিশাপ দেই তাদের যারা আমাদের সমাজটাকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করালো, যেখানে অপ্রিয় কথা বলার জন্য সহপাঠীকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। আসিফ আকবর সঙ্গীতশিল্পী জেনারেশন এখন অনেক স্মার্ট, আসুন সন্তানদের মনের ভাব বোঝার চেষ্টা করি, জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা না করি। ইনোসেন্ট ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেই পৈশাচিক টর্চারের মুখে যেন না পড়ে, আসুন এই সংস্কৃতি থেকে বের হই। সন্তানদের খবর রাখবো, গুপ্তচর হিসেবে নয়, বন্ধু কিংবা অস্তিত্ব হিসেবে। ঘুমাও শহীদ আবরার, ক্রিমিনাল হয় সাময়িক হিরো, আর তোমরা জাতির জাগরণ হয়ে অনন্তকাল বেঁচে থাকবে অমুল্য প্রাণের বিনিময়ে।