×

মুক্তচিন্তা

ভাষা আন্দোলন বঙ্গবন্ধুর ভাষা রাষ্ট্রের ভিত্তি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:৫৬ পিএম

ভাষাসৈনিক গাজীউল হক লিখেছেন, ‘ঢাকায় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলো। ১১ মার্চে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। ১০ মার্চ রাতে ফজলুল হক হলে রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের একটি সভা বসল। সভায় আপসকারীদের ষড়যন্ত্র শুরু হলো। একটা বজ্রকণ্ঠ সচকিত হয়ে উঠল- সরকার কি আপস প্রস্তাব দিয়েছে? নাজিমুদ্দিন সরকার কি বাংলা ভাষার দাবি মেনে নিয়েছে? যদি তা না হয়ে থাকে তবে আগামীকাল ধর্মঘট হবে, সেক্রেটারিয়েটের সামনে পিকেটিং হবে। এই বজ্রকণ্ঠ ছিল শেখ মুজিবের।’

ধর্মভিত্তিক পাকিস্তান রাষ্ট্র গড়ে ওঠার পর বাঙালিরা প্রথম ধাক্কাটি পায় তার ভাষা নিয়ে। কালক্রমে সেটি কেবল ভাষায় সীমিত থাকেনি, আক্রমণের ভিত্তি বাঙালির সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জীবনধারার ওপরও সম্প্রসারিত হয়। বাঙালির ভাষা রাষ্ট্রের জনককে চিনতে হলে তাই ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পৃক্ততা জানা দরকার। ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিবের ভূমিকা তাঁর রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই আন্দোলনের সূচনা বস্তুত পাকিস্তানের জন্মেরই আগে। তবে পাকিস্তান আন্দোলন নিয়ে সবাই এত ব্যস্ত ছিলেন যে ভাষার প্রশ্নটি সেভাবে গুরুত্ব পায়নি।

১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর জিয়াউদ্দিন আহমদ অভিমত ব্যক্ত করেন যে, হিন্দিকে ভারতের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে যেহেতু স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করা উচিত। পাকিস্তান নিশ্চিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জিয়াউদ্দিনের উপরোক্ত মতামত প্রচারিত হলে ড. মো. শহীদুল্লাহর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি জোরালোভাবে বলেন, ‘উর্দু পাকিস্তানের কোনো অঞ্চলেই মাতৃভাষা রূপে চালু নয়। যদি বিদেশি ভাষা বলিয়া ইংরেজি ভাষা পরিত্যক্ত হয়, তবে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা রূপে গ্রহণ না করার পক্ষে কোনো যুক্তি নাই।’ তার এই বক্তব্যের পক্ষে বা বিপক্ষে তখন কেউ কোনো মন্তব্য করেছে বলে মনে হয় না। কেননা তখন সবার দৃষ্টি ভারত বিভক্তি এবং নতুন পাকিস্তান রাষ্ট্রের উৎপত্তির দিকে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে প্রত্যেক বাঙালির জন্য প্রাথমিক শিক্ষণীয় ভাষা অবশ্যই বাংলা হইবে। উন্মাদ ব্যতীত কেহই ইহার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করিতে পারিবে না।’ পাকিস্তান আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য না করার ফলে এ নিয়ে বড় কোনো ধরনের বিতর্ক পরিলক্ষিত হয়নি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই রাষ্ট্রভাষার সন্দেহ ঘনীভূত হতে থাকে। কেননা পাকিস্তান সৃষ্টির প্রাক্কালে রাষ্ট্রভাষার প্রসঙ্গটি বিভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়েছিল। বিশেষত পাকিস্তান আন্দোলনের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা চৌধুরী খালেকুজ্জামান (১৮৮৯-১৯৭৩) পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দুর পক্ষে মতামত রেখেছিলেন ১৯৪৭ সালের ১৮ মে তারিখে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ সম্পর্কে কোনো ঘোষণা দেয়া না হলেও বাংলাকে অবমূল্যায়ন করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। উর্দুর পক্ষে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট ছিল। তখন সচেতন মহল আশঙ্কা করেন যে কোনো মুহূর্তে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে সরকারি ঘোষণা আসতে পারে। গণতান্ত্রিক যুবলীগ ১৯৪৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত তাদের সম্মেলনে বাংলা ভাষাকে ‘পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষার বাহন ও আইন আদালতের ভাষা’ করার দাবি জানায়। ওই সময়ে ড. মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-৮১) তার এক নিবন্ধে লেখেন যে, উর্দু প্রচলিত হলে পূর্ববাংলার রাজনৈতিক, রাষ্ট্রিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ধ্বংস ঘনিয়ে আসবে এবং ‘সর্ব বিষয়ে পূর্ব পাকিস্তান হবে উত্তর ভারতীয় পশ্চিম পাকিস্তানি উর্দুওয়ালাদের শাসন ও শোষণের যন্ত্র। পাকিস্তান সৃষ্টির মাত্র তিন মাসের মধ্যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা নিয়ে এতসব প্রতিক্রিয়ার পরও করাচিতে ৫ ডিসেম্বর ১৯৪৭ সালে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার সুপারিশ করা হয়। পাকিস্তানের তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমান, মন্ত্রী হাবিবুল্লাহ বাহার ও আবদুল হামিদ ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে সম্ভবত এটিই সরকারের প্রথম উদ্যোগ ও উদ্দেশ্য ব্যক্ত করা হয়। এই সংবাদ ৬ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে প্রকাশিত মর্নিং নিউজ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে ছাত্রদের প্রতিবাদ সভা করা হয়। এটিই রাষ্ট্রভাষার দাবি নিয়ে ছাত্রদের প্রথম সাধারণ সমাবেশ। ওই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন তমদ্দুন মজলিসের সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কাশেম। বক্তৃতা করেন মুনীর চৌধুরী, আব্দুর রহমান, এ কে এম আহসান, কল্যাণ দাশগুপ্ত, এস আহমদ প্রমুখ। সভার প্রস্তাব পাঠ করেন ফরিদ আহমদ। সমাবেশ শেষে ছাত্ররা মিছিল সহকারে সচিবালয় এবং মর্নিং নিউজ পত্রিকার সম্মুখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ছাত্রদের অংশগ্রহণ দেখে বিভিন্ন স্তরের মানুষও এর সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে। এরই ফলে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। পরিষদের পক্ষ থেকে ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সালে শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং মানি অর্ডার, ডাক টিকেট ও টাকায় ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলা লেখার আবেদন জানানো হয়। ধীরে ধীরে বাংলা ভাষার প্রসঙ্গটি সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের করাচিতে অনুষ্ঠিত প্রথম অধিবেশনের গণপরিষদ ইংরেজির সঙ্গে উর্দু ভাষা ব্যবহারের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে বাংলা ভাষা ব্যবহার সম্পর্কিত ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৮৬-১৯৭১) আনীত সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রভাষার ওপরে আলোচনা শুরু হয়। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ঐতিহাসিক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন এবং জোরালো ভাষায় এর পক্ষে বক্তব্য রাখেন। তিনি যা বলেন তার ভাবানুবাদ এমন- ‘এটি রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভাষা এবং মর্যাদাটাও অনন্য। এই রাষ্ট্রের ছয় কোটি নব্বই লাখ মানুষের মাঝে চার কোটি চল্লিশ লাখ বাংলা ভাষায় কথা বলেন। সুতরাং রাষ্ট্রের ভাষা কী হওয়া উচিত? রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষাই রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিত এবং সেই কারণেই আমি মনে করি বাংলাই আমাদের রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিত।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান সম্মানিত সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বক্তব্যের বিরোধিতা করে দীর্ঘ বক্তৃতায় যা বলেন তার ভাবানুবাদ হলো- ‘পাকিস্তান একটি মুসলমান রাষ্ট্র এবং সে জন্য এই রাষ্ট্রের ভাষা একটি মুসলিম ভাষাই হতে হবে। আমি বছরের পর বছর কেন্দ্রীয় এসেম্বলিতে কখনো কাউকে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তুলতে শুনিনি। আমি জানতে চাই এখন কেন এই দাবি উঠল। এই দাবি পাকিস্তানের মানুষদের বিভক্ত করার একটি প্রয়াস। এই সংশোধনী মুসলমানদের ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য।’ দুঃখজনক হলেও সত্য মুসলিম লীগ দলের কোনো বাঙালি সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে সমর্থন করে কথা বলেননি। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এই যে খাজা নাজিমুদ্দিন পূর্ববাংলার গণমানুষের ভাষার সপক্ষে কথা বলেননি বরং খাজা নাজিমুদ্দিন উর্দুর পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে যা বলেন তার ভাবানুবাদ এমন- সংসদ নেতা এটি স্পষ্ট করেছেন যে বাংলাকে প্রাদেশিক ভাষা রাখা হবে এবং আমি বিশ্বাস করি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ উর্দুকেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে। বাংলাকে পাকিস্তান রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা করার কোনো যৌক্তিক কারণ তাই, তবে বাংলা প্রদেশের জন্য এটি হতে পারে।

ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত আনীত বাংলা ভাষা প্রস্তাব ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ পাকিস্তান সরকারের একগুঁয়েমি এবং মুসলিম লীগ নেতাদের অদূরদর্শিতার কারণে বাতিল হয়ে যায়। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের আচরণকে ব্যাখ্যা করেছিলেন এভাবে- ‘... ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ যখন করাচিতে গণপরিষদে এই মর্মে প্রস্তাব পাস করা হলো যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, তখন থেকেই বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত। তখন কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত একমাত্র এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন, আমি অবাক হয়ে যাই ওই সময় আমাদের বাঙালি মুসলিম নেতৃবৃন্দ কী করেছিল?...’ গণপরিষদে বাংলা ভাষাবিরোধী সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে ঢাকায় ছাত্র সমাজ বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘট পালন করে। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ থেকে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ছাত্রদের সভা, শোভাযাত্রা, পিকেটিং ও বিক্ষোভ খাজা নাজিমুউদ্দিনের মুসলিম লীগ সরকার লাঠি, টিয়ার গ্যাস ও ফাঁকা গুলিবর্ষণে স্তব্ধ করতে ব্যর্থ হয়ে ব্যাপক ধরপাকড় করে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ ছাত্র নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়, বাঙালি এই প্রথম পাকিস্তানের প্রকৃত পরিচয় লাভ করে। এ প্রসঙ্গে ভাষাসৈনিক গাজীউল হক লিখেছেন, ‘ঢাকায় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলো। ১১ মার্চে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। ১০ মার্চ রাতে ফজলুল হক হলে রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের একটি সভা বসল। সভায় আপসকারীদের ষড়যন্ত্র শুরু হলো। রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের আহ্বায়কসহ অনেকেই তখন দোদুল্যমানতায় ভুগছে, আপস করতে চাইছে সরকারের সঙ্গে। একটা বজ্রকণ্ঠ সচকিত হয়ে উঠল- সরকার কি আপস প্রস্তাব দিয়েছে? নাজিমুদ্দিন সরকার কি বাংলা ভাষার দাবি মেনে নিয়েছে? যদি তা না হয়ে থাকে তবে আগামীকাল ধর্মঘট হবে, সেক্রেটারিয়েটের সামনে পিকেটিং হবে। এই বজ্রকণ্ঠ ছিল শেখ মুজিবের। ছাত্রনেতা শেখ মুজিবকে সমর্থন দিলেন অলি আহাদ, মোগলটুলির শওকত সাহেব, শামসুল হক সাহেব। আপসকামীদের ষড়যন্ত্র ভেসে গেল।’ অলি আহাদ উল্লেখ করেছেন, ‘সে দিন সন্ধ্যায় যদি মুজিব ভাই ঢাকায় না পৌঁছাতেন তাহলে ১১ মার্চের হরতাল, পিকেটিং কিছুই হতো না।’ তরুণ শেখ মুজিব সেই রাতে গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে ফজলুল হক হলে অনুষ্ঠিত সভায় যোগদান করেন। ১১ মার্চের ধর্মঘটে শেখ মুজিব সচিবালয়ে পিকেটিং করার সময় গ্রেপ্তার হন। পাকিস্তান সৃষ্টির সাত মাস পূর্তির আগেই তিনি গ্রেপ্তার হলেন। স্বাধীন পাকিস্তানের রাজনীতিতে এটিই তার প্রথম গ্রেপ্তার। শেখ মুজিবসহ অন্য ছাত্রনেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ১৩ মার্চ ছাত্র ধর্মঘট এবং ১৪ মার্চ প্রদেশব্যাপী হরতাল পালিত হয়। আন্দোলন তীব্রতর হতে থাকলে নাজিমুদ্দিন সরকার ছাত্র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়। উভয়পক্ষ মিলে একটি খসড়া চুক্তি প্রণয়ন করেন। কিন্তু শেখ মুজিবসহ বিশিষ্ট ছাত্রনেতারা ১১ মার্চ থেকে ছিলেন কারাগারে। ছাত্র নেতৃবৃন্দ তাদের অনুমোদন ব্যতীত কোনো চুক্তি না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তাই এই প্রসঙ্গে অলি আহাদ বলছেন, ‘চুক্তিপত্রটি ১১ মার্চ ধৃত বন্দিগণ কর্তৃক অনুমোদনের জন্য অধ্যাপক আবুল কাশেম ও জনাব কমরুদ্দীন আহমদ কারান্তরালে আমাদের সহিত বৈঠকে মিলিত হইলেন। জনাব শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান ও আমি (অলি আহাদ) বন্দিগণের পক্ষ হইতে খসড়া চুক্তির শর্তাবলি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অনুমোদন করিলাম।’

মোস্তাফা জব্বার: তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App