×

জাতীয়

বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:০৬ পিএম

বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে কোনো নেতিবাচক প্রভাব এই খাতে পড়েনি। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের নেতিবাচক সমালোচনা না করে সরকারকে ধন্যবাদ দিন।

শনিবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত ‘পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড রিজিওনাল ব্যালেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিউট (বিপিএমআই) ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে বিদ্যুৎ বিভাগের সব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি এবং বিদ্যুৎ বিতরণকারি কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বর্তমান বিতরণ ব্যবস্থার আরো উন্নয়ন ঘটিয়ে কিভাবে বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদা মোকাবিলা করা যায়, কিভাবে দেশের সব এলাকায় মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় এবং সব অঞ্চলে সঞ্চালন লাইনের অবকাঠামো উন্নয়ন ও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যু সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়।

ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব বিদ্যুৎ খাতে পড়েনি। তাই বিদ্যুতের অতিরিক্ত উৎপাদনের বিষয়টিকে নেতিবাচক সমালোচনা না করে সরকারকে ধন্যবাদ দিন। মোট চাহিদা হিসাব করেই বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও একইভাবে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানো হবে।

বিদ্যুৎ সচিব আরো বলেন, ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হলেও ক্যাপাসিটি পেমেন্টের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। আগে বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি উৎপাদন খরচ ৬ টাকা ১৬ পয়সা ছিলো। এখন তা কমে ৫ টাকা ৬৪ পয়সায় এসে দাঁড়িয়েছে। এরফলে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। এটা আমরা ধরে রাখতে চাই।

চারটি সেশনে দিনব্যাপী সেমিনারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), বিপিএমআই ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)-এর প¶ থেকে পৃথক পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এসব প্রবন্ধে বিদ্যুৎ খাতের সমস্যা এবং উত্তরণের বিষয় খুঁজে বের কারা ওপর গুরুত্বারোপ করে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App