×

জাতীয়

আবরার হত্যাকাণ্ডে সরকারের পতন দেখছে বিএনপি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:৩৮ পিএম

আবরার হত্যাকাণ্ডে সরকারের পতন দেখছে বিএনপি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের বীজ রোপন হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, কে এম নাজির উদ্দিন জেহাদ হত্যার মাধ্যমে স্বৈরাচার এরশাদ পতনের বীজ রোপন হয়েছিল আর আবরার হত্যাকান্ডের মাধ্যমে এই সরকারের পতনের বীজ রোপন হয়েছে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে ভারতের সঙ্গে করা ও দেশ বিরোধী ও চুক্তি বাতিল ও আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান হোসেল।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মিজ্জা আব্বাস, উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

একই দাবিতে আগামীকাল রোববার হবে সারাদেশে জেলা সদরে। কার্যালয়ের সামনে ফুটপাতে বসে এই সমাবেশ বেলা দেড়টায় শুরু হয়ে শেষ হয় সাড়ে চারটায়। সমাবেশে খালেদা জিয়া ও আবরার ফাহাদের ছবির পাশাপাশি ও দেশবিরোধী চুক্তি বাতিলে দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও দেখা গেছে নেতা-কর্মীদের হাতে হাতে।

কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে শুরু করে ফকিরেরপুল মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ সড়কে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে বিকালে চারটায় সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেয়। নয়া পল্টনের সড়কে ওপর এই সমাবেশে হলেও সড়কের একপাশে একটি গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়। এই চলাচল সচল রাখতে জনস্রোতকে সরিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করতে মির্জা আব্বাসও নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে।

ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার ভারতের সাথে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী চুক্তি করেছে বলে অভিযোগ করে এর বিরুদ্ধে গণঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে মোশাররফ বলেন, ফেনীর নদীর পানি সরবারহ, চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার, বঙ্গোপসাগরের উপকূল পর্যবেক্ষণে যৌথ রাডার স্থাপন, আমদানিকৃত এলপিজি রপ্তানি করা এই চারটি বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী বলে আমরা মনে করি। এই চারটি চুক্তির একটিও বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে নয়।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি এবং ভারত তোষণের নীতি হিসেবে এ সকল চুক্তি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকা। তিনি বলেন, আমরা এই প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকব না। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হতে পারে, সম্প্রসারণবাদ, আধিপত্যবাদ বাংলাদেশকে গ্রাস করতে পারে। এমন অবস্থায় দেশের মানুষ বসে থাকবে না।

বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এখন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার। দেশের মানুষ কখন এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে বরদাশ করতে পারে না।

মির্জা আব্বাস বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিনিময়ে চুক্তি হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী একতরফা দান করে দিয়ে আসলেন। তিনি বলেন, আবার অত্যন্ত লজ্জিত আমি দেখলাম ভারতের বিমানবন্দরে লাল কার্পেট নাই, এক প্রতিমন্ত্রী তাকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। এটা দেশের জন্য লজ্জার ।

সমাবেশে আসার সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে দাবি করে হাবিব উন নবী খান হোসেল বলেন, সমাবেশে আসার সময় কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে তাদের মুক্তি দিতে হবে। আর মুক্তি না দিলে পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য আমরা দায়ী নয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App