×

শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন বুয়েট উপাচার্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:৫৪ পিএম

বুয়েট শিক্ষার্থীদের করা ১০ দফা দাবির সবকয়টিই মেনে নিয়েছেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। একইসঙ্গে আবরার হত্যার ঘটনায় উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল পাঁচটায় বুয়েট কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উপস্থিত হয়ে এই ঘোষণা দেন। প্রথম দাবি খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, এ ব্যাপারে আমরা সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছি। খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। খুনের সাথে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। সবকিছু একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে হচ্ছে। যদি তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা যদি কোর্টে হেরে যাই তাহলে সমস্যা। তাই এজহার ভুক্ত ১৯ জনকে সাময়কি বহিস্কার করা হলো। তা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। আর মামলার রায় হওয়ার পর আমরা তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। আবরারের পরিবারের মামলা পরিচালনার সকল ক্ষরচ বহন করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি আবরারের পরিবারকে অর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়া দেয়ারও ঘোষনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। তবে এ জন্য আবরারের পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর আবেদন করতে হবে বলে জানান উপাচার্য। দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি করার বিষয়ে বলা হয়, এ ব্যাপারে আমরা একমত। সরকারের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করছেন এ ব্যাপারে কোন গাফিলতি করা হবে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা এ ব্যাপারে সরকারকে লিখিত আকারে কিছু সুপারিশ দিব। অবিলম্বে চার্জশীটের কপিসহ অফিশিয়াল নোটিশ দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়, চার্জশীটের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে সরকারকে জোর করতে পারব না। সরকার তাদের নিজস্ব গতিতে ও পদ্ধতিতে কাজ করছে। আর মামলার চার্জশিট হাতে পেলে আমরা নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দিব। বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যপারে উপাচার্য বলেন, আমার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে আজ থেকে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করলাম। একইসাথে শিক্ষক রাজনীতিও নিষিদ্ধ করলাম। আজ থেকে রাজনৈতিক কোন প্রোগ্রামে বুয়েটের কোন শিক্ষক যাবেন না। তবে যদি কেউ গোপনে রাজনীতি করে তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। ক্যাম্পাসে আবরারের জানাজায় অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, এ সময় একটু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। আমি আসলে জানতাম না যে আবরারের লাশ ক্যাম্পাসে আনা হবে এবং এখানে জানাজা হবে। তাই আমি অংশগ্রহণ করতে পারি নি। পরে জানতে পেরে এসে দেখি তার লাশ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবাসিক হলগুলোতে বিশেষ করে আহসানউল্লা হল এবং সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বের ঘটনাগুলোয় র‍্যাগের নামে এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপর সকল প্রকার শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন বন্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পূর্বে ঘটা র্যাগিংয়ের ঘটনাগুলো প্রকাশ এবং পরবর্তীতে ঘটা যেকোন ঘটনা প্রকাশের জন্য একটা কমন প্লাটফর্ম তৈরী করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিভাগ ও শিক্ষার্থীদের সহয়তা নিয়ে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App