মাংস ছেড়ে দিয়েছি, মাছ অনিয়মিত, সবজি....
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:২৩ পিএম
বাজারে গিয়ে স্বস্তি হারাচ্ছেন মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তরা। বিশেষ করে গরুর মাংসের দাম অনেকেরই নাগালের বাইরে। মাছের যে দাম তা মাঝে মাঝেই কিনতে হচ্ছে। বাকি ছিল বিভিন্ন শাক-সবজি। সবাই শীত মৌসুমের দিকেই তাকিয়ে থাকেন। শীত এলে হরেকরকম টাটকা সবজি কেনা যাবে। স্বস্তি পাওয়া যাবে।
তবে এবারের চিত্র একদমই আলাদা। দেশে দুই দফা বন্যায় শীতের সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে। এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী বাজারে সবজি মিলছে না তেমন। যদি আগাম কিছু সবজি বাজারে এসেছে সেগুলোর দাম অনেকের নাগালের বাইরে। অতিরিক্ত দামের কারণে শীতের সবজি কোনো সুখর আনছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারাদেশে বন্যার কারণে অনেক এলাকার সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে। সে কারণে পাইকারী বাজারে সরবরাহ কমে গিয়ে দাম বেড়েছে। আর সেই বাড়তি দামের প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। বিশেষ করে সাধারণ ক্রেতাদের ভিড় যেখানে বেশি সেখানেই দামটা চড়া।
রাজধানীর বাজারগুলো দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা, খাসি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, লাল লেয়ার ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, পাকিস্তানি কক ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা।
মাছের বাজারে রুই বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, ট্যাংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারে প্রতিপিস বাঁধা কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। সবজির মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের শাক। প্রতি আঁটি (মোড়া) লালশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলাশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা, কুমড়া শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং পুঁইশাক ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
খিলগাঁও রেলগেট কাঁচা বাজারে আসা ক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারের দামের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে গরুর মাংস খাওয়া অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি। মাছও নিয়মিত খাওয়া হয় না। মাছ-মাংস বাদ দিয়ে সবজি কিনে খাবো তারও উপায় নেই।