×

অর্থনীতি

অর্থনীতির চার ঝুঁকিতে পাঁচ চ্যালেঞ্জ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১১:২২ এএম

অর্থনীতির চার ঝুঁকিতে পাঁচ চ্যালেঞ্জ
নাজুক ব্যাংকিং খাতসহ দেশের অর্থনীতিতে ৪ ধরনের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একই সঙ্গে এসব ঝুঁকি উত্তরণে আর্থিক খাতে বিভিন্ন সংস্কারসহ ৫ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটি। তা না হলে টেকসই উন্নয়নে লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন হবে। বিশ্বব্যাংক মনে করছে, সরকারের পক্ষ থেকে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে জিডিপির হার ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিলেও তা হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে প্রবৃদ্ধির এই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এতে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ বার্নাড হ্যাভেন। বক্তব্য দেন কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন। এ সময় অর্থনীতির এসব ঝুঁকির কথা বলা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংস্থাটির সাবেক লিড ইকনোমিস্ট ও পরামর্শক ড. জাহিদ হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুবসহ অন্য কর্মকর্তারা। বার্নাড হ্যাভেন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেশ কয়েকটি সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে ধারাবাহিক ৭ শতাংশের উপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন, শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনীতি, সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে থাকা, আমদানি ব্যয় ও বাজেট ঘাটতি প্রত্যাশার মধ্যে থাকা। কিন্তু এই সম্ভাবনার সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে বেশ কয়েকটি ঝুঁকিও। বৈশ্বিক ঝুঁকির মধ্যে আছে মন্দার কারণে বিশ্ব রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ কম হওয়া, চীনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধ, ব্রেক্সিট ইস্যু ও সৌদি-ইরানের স্নায়ুযুদ্ধ ইত্যাদি। তবে যদি জ্বালানি তেলে দাম না বাড়লে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি না বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে চার ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, আর্থিক খাতের সুশাসনের অভাব, রাজস্ব আহরণে দুর্বলতা, প্রকৃত মুদ্রা বিনিময় হার বৃদ্ধি পাওয়া এবং প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়া অন্যতম ঝুঁকি। বার্নাড হ্যাভেন বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য আর্থিক চলমান সংস্কার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা, খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা, রাজস্ব আয় বাড়াতে কর নীতির সংস্কার, সরকারি বিনিয়োগের মানসম্মত ব্যবস্থাপনা, ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে উন্নয়ন ও মানব সম্পদের উন্নয়নে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি বিনিয়োগ, ব্যক্তি পর্যায়ে ভোগ ও সেবা খাতের প্রভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে, তবে সেটা সরকারের ঘোষিত পূর্বাভাস ৮ শতাংশ হবে না। এটা হতে পারে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৭ দশমিক ৩ শতাংশে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয় ব্যক্তি খাতের ভোগ বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে দাঁড়াতে পারে ৬ দশমিক ২ শতাংশে, যা গত অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। সরকারি ভোগ ব্যয় ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৮ দশমিক ১ শতাংশ। তবে রপ্তানি কমবে এবং আমদানি বেড়ে যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাগত বক্তব্যে মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, বাংলাদেশের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অনেক প্রশংসার। এক্ষেত্রে সংখ্যা কোনো বিষয় নয়। ইতিবাচক উন্নতি যে হচ্ছে এটিই অনেক বড় ব্যাপার। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। গত অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App