প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে চায় যাতে আজকের শিশুরা সামনের দিনগুলোতে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ লাভ করে। আমরা এই লক্ষ্য অর্জনেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

বিশ্ব শিশু দিবস এবং শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে শিশুদের জন্য মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের থাবা থেকে মুক্ত উন্নত জীবন নিশ্চিত করা।

শিশুদের উন্নত জীবনের জন্য বঙ্গবন্ধুর নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থী এবং মাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের জন্য বিনা বেতনে পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। শিশু অধিকার রক্ষায় বঙ্গবন্ধু শিশু আইন-১৯৭৪ অনুমোদন করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যন লাকী ইনাম এবং ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ভেরা মেনডোনকা। স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে শিশুদের লেখা চিঠির একটি সংকলন এবং একটি শিশুর আঁকা তাঁর পোট্রেট শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন এবং শিশুদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী নতুনভাবে সাজানো কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি এবং শিশু একাডেমি চত্বরে বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বই এবং তাঁদের ওপর লেখা বই রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নতুন করে সাজানো শেখ রাসেল গ্যালারি এবং শেখ রাসেল চিলড্রেন মিউজিয়ামে শেখ রাসেল আর্ট গ্যালারি পরিদর্শন করেন।

দুই শিশু রওনক জাহান এবং আদিল কিবরিয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং অপর দুই শিশু মাহজাবিন এবং আবদুল্লাহ আল হাসান শিশুদের পক্ষে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। বিশ্ব শিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আজকের শিশু আনবে আলো, বিশ্বটাকে রাখবে ভালো।’ সূত্র: বাসস।