বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) হত্যার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থেকে ‘আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার চাই’-ব্যানারে মিছিল বের করা হয়। তার আগে তারা সাত দফা দাবি তুলে ধরেন।

১. খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

২. ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিতভাবে সনাক্ত করা খুনি সবার ছাত্রত্ব আজীবন বতিল নিশ্চিত করতে হবে।

৩. দায়ের করা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে।

৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হবার পরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন নি তা তাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টার মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে। একই সাথে ডিএসডব্লিউ স্যার কেন ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করেছেন তাকেও জবাবদিহি করতে হবে।

৫. আবাসিক হলগুলোতে র‍্যাগের নামে এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সব ধরনের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন বন্ধসহ জড়িতদের সবার ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে আহসানউল্লা ও সোহরাওয়ার্দী হলে ঘটে যাওয়া আগের ঘটনাগুলোতে জড়িত সবার ছাত্রত্ব বাতিল ১১ নভেম্বরের নিশ্চিত করতে হবে।

৬. রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা ও ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।

৭. মামলা চলাকালীন সব খরচ এবং আবরারের পরিবারের সব ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে।

এর আগে সোমবার (৭ অক্টোবর) ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ও বিচারের দাবিতে মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।

ভোকা/এনএম