×

জাতীয়

জুরাইনে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:১৮ পিএম

রাজধানীর জুরাইনে রহিম বাদশা ওরফে হৃদয় (২৩) নামের এক যুবক মারা গেছেন। গত সোমবার রাতে কলাবাগানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই যুবকের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (৮ অক্টেবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনরা নিয়ে যায়। তবে হৃদয়ের মৃত্যু নিয়ে পরিবার ও স্থানীয় লোকজন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।

রহিম বাদশা মামার মুদি দোকানে কাজ করতেন। জুরাইন আলম মার্কেট এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। বাবা শফিক হিটলারের দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে রহিম বাদশা ছিলেন বড়। দুই বছর আগে বিয়ে করেন তিনি। রহিম বাদশার পরিবারের প থেকে বলা হচ্ছে, তাদের বাসার কয়েকটি বাড়ির পরই একটি চারতলা ভবনের ছাদে তাকে ডেকে নিয়ে মারধর করে ফেলে দেয়া হয়েছে।

তবে স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, ওই বাসার ছাদে এলাকার কিছু ছেলে মাদকজাতীয় দ্রব্য সেবন করত। বাড়ির মালিক আসছে শুনে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে রহিম বাদশা ও সজীব নামের দুই যুবক আহত হন। এর মধ্যে রহিম বাদশার অবস্থা ছিল গুরুতর। পরে আশপাশের লোকজন রহিম বাদশাকে ঢামেক হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখান থেকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সজীব স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।

এবিষয়ে কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন জানান, সোমবার দিবাগত রাত ২টায় কলাবাগানের গ্রিন লাইফ হাসপাতালের আইসিইউ থেকে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠান। তিনি বলেন, হৃদয়ের মুখের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলানো জখম ছিল। এ ছাড়া তার হাতের আঙুলে জখম ছিল। গতকাল দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনেরা লাশ নিয়ে যান। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

মৃতের খালা সালমা বেগম জানান, হৃদয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে হাসপাতালে এসেছি। তবে তাকে কেউ ফেলে দিয়েছে, না পড়ে গেছে, তা এখনো জানতে পারিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App