নিয়ম না মেনে ভোটার করার অভিযোগ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০১৯, ১২:১২ পিএম
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শুক্রবার (২৫ অক্টোবর)। ২০১৯-২১ মেয়াদি কমিটি নির্বাচনের জন্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর ৪৪৯ জনের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। গত নির্বাচনে ৬২৪ জন ভোটার ছিলেন। খসড়া থেকে বাদ পড়া ও নতুন মিলে প্রায় ১৮১ জনকে সহযোগী সদস্য করা হয়েছে যাদের ভোটাধিকার নেই। আবার প্রায় ২০ জনকে করা হয়েছে নতুন ভোটার। পুরো প্রক্রিয়ায় সমিতির গঠনতন্ত্র ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাদ পড়া ভোটাররা।
গঠনতন্ত্রের ৫(ক) ধারা অনুযায়ী একজন শিল্পীকে পূর্ণ সদস্যপদ ও নির্বাচন করতে হলে বাংলাদেশে মুক্তিপ্রাপ্ত ন্যূনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। অথচ ভোটার তালিকায় স্থান পাওয়া ডি এ তায়েব, মিষ্টি জান্নাত, আসিফ নূর, বেগম প্রমা, বিন্দিয়া কবির, শ্রাবণ খান, শ্রাবণ শাহ, জেবা চৌধুরী, তানহা তাসনিয়া, শিরিন শিলা, সাঞ্জু জন, এইচ আর অন্তর ও জলির কারোই পাঁচটি করে ছবি মুক্তি পায়নি। আবার একই ধারায় বাদ পড়েছেন নায়ক শান, ফিরোজ শাহ, নায়িকা অধরা খান, তিতান চৌধুরীসহ অনেকেই। যারা শাকিব খান-অমিত হাসানের কমিটিতে ২৫-৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে সদস্য হয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে নায়ক শান বলেন, ভোটার তালিকা থেকে বাদের কারণ জানতে সমিতিতে গিয়েছিলাম। এক নেতা আমাকে বলেছেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে সহযোগী সদস্যপদও থাকবে না। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিল্পী সমিতির কার্যকরী পরিষদ ও উপদেষ্টামণ্ডলী মিলে যাচাই-বাছাই করে গতবারের ভোটার তালিকা সংশোধন করা হয়েছে। সত্যি বলতে চাল বাছতে গেলেও কিছু ভালো চাল পড়ে যায়। হয়তো আমাদের বেলাতেও সেরকম কিছু হয়েছে। যোগ্য কিছুসংখ্যক ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।