×

জাতীয়

জনসংখ্যার বয়সভিত্তিক বিভাজন জানা জরুরী: এলজিআরডি মন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:৪৫ পিএম

জনসংখ্যার বয়সভিত্তিক বিভাজন জানা জরুরী: এলজিআরডি মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ব‌লে‌ছেন, আধুনিক রাষ্ট্রের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য সঠিক জনসংখ্যা ও জনসংখ্যার বয়সভিত্তিক বিভাজন জানা খুবই প্রয়োজন। তাৎক্ষনিকভাবে জনসংখ্যা জানার সর্বোত্তম পদ্ধতি সঠিকভাবে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সম্পাদন। বাংলাদেশে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, ইউনিয়ন পরিষদ ও বিদেশে অবস্থিত ৫৫টি দূতাবাসসহ মোট ৫১০৭ টি নিবন্ধক কার্যালয়ে অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আজ রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় আয়োজিত ‘জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধনের হার প্রায় শতভাগ হলেও শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের হার এখনো সন্তোষজনক নয় অথচ বিশ্বের উন্নত দেশসমূহে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই জন্ম নিবন্ধন করা হয়। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী আমাদের দেশেও শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন ১০০% করতে হবে। এ হার বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরী। এটা করা না হলে শিশুর জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে। এরূপ অবস্থায় সমাজে বাল্যবিবাহ, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরীদের শ্রমিক হিসেবে বিদেশ গমণের প্রবণতা বাড়বে, সার্বিকভাবে শিশুর অধিকার সুরক্ষা কঠিন হবে।

জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়েছে ১৮ বছরের উর্ধ্বে বয়সীদের জন্য। কিন্তু জন্ম সনদ সবার জন্যই প্রয়োজন। জন্ম নিবন্ধন সনদে শিশুর যাবতীয় তথ্য সন্নিবেশিত থাকতে হবে। শিশুটির যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখন সে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবে এবং স্বয়ংক্রিয় ভাবে ভোটার তালিকায় তার নাম উঠবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মানিক লাল বনিক, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি প্রতিনিধি মিস ভীরা মেনডনকা প্রমুখ।

এর আগে দিবসটি উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালীর আয়োজন করা হয়। র‌্যালীটি সচিবালয় লিঙ্ক রোডের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে কাকরাইলের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালীতে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী, স্কাউটস ও জনসাধারণ অংশগ্রহণ করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App