আফগানিস্তানে যুদ্ধকালীন ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমরসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে একাধিক বৈঠক করা হুজির শীর্ষ নেতা আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকারকে ঢাকার খিলক্ষেত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরো দুজনকে আটক করেছে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ।

বুধবার (২ অক্টোবর) খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এর বড় মসজিদের মাঠ এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আতিকুল্লাহ ছাড়া অন্য আটকৃতরা হলেন- বোরহান উদ্দিন রাব্বানী (৪২) ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম (৪৩)।

ডিএমপি জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আতিকুল্লাহ হুজির মুফতি হান্নানের ১৯৯৬ সালে গঠিত কমিটির সাংগাঠনিক সম্পাদক। পরবর্তীতে বায়তুল মাল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দায়িত্বশীল ছিলেন। তিনি আফগান ফেরত যোদ্ধা এবং বোমা বিশেষজ্ঞ।

আতিকুল্লাহ আফগানিস্তানে যুদ্ধকালীন সময়ে ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর, আইমান আল জাওয়াহেরীসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে একাধিক বৈঠক করেছেন। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথমদিকে তিনি দুবাই হয়ে সৌদি আরব পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেন ।

দীর্ঘদিন বিদেশে পলাতক থেকে এ বছর মার্চে দেশে ফিরে সংগঠন সক্রিয় করা এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ করা শুরু করেন। ইতোমধ্যে সংগঠনকে গতিশীল করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সফর সহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎস হতে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। পাকিস্তান, দুবাই ও সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের জঙ্গি সংগঠনের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে।

অপর দু’জন মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি এবং বোরহান উদ্দিন রাব্বানী ফেনি জেলার দায়িত্বে ছিলেন। তারা বর্তমানে কাশ্মীর সমস্যা এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে পরস্পর যোগসাজশে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।