×

জাতীয়

‘কবিরাজ’র বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:০৮ পিএম

‘কবিরাজ’র বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

অভিযুক্ত ভুয়া ডাক্তার মাওলানা মো. কামরুল ইসলাম

প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ ও শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক ভূয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে। তিনি এতোটাই প্রভাশালী যে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ধরাছোয়ার বাইরে। তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা করে উল্ট অভিযোগকারীকে ভয়ভীতি দেখায়।

বুধবার (২ অক্টোবর) ল‘ রিপোর্টার্স ফোরামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভূক্তভূগী রাবেয়া আক্তার(২৮)। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শারীরিক সমস্যার কারণে সিলেট জেলার লালবাজার নিশ্চিন্তপুর (তেতলী) এলাকার মেসার্স শাহজালাল মেডিকেল হলে ডাক্তারের কাছে যান। সেখানে ডাক্তার মাওলানা মো. কামরুল ইসলাম রোগ সম্পর্কে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাবিজ-কবজের মাধ্যমে জিন তাড়ানোর কথা বলেন। সে অনুযায়ী তিনি ওই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। এর মধ্যে ডাক্তার কামরুল ওই রোগীর কাছ থেকে প্রতারণা করে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। আর এ সকল কাজের সহযোগীতা করেন হুজুরের সহযোগী লিপু।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ডাক্তার কামরুল ইসলামের কাছে চিকিৎসার জন্য গেলে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে জি¦ন আছে এবং এই জি¦ন থাকলে আস্তে আস্তে মারা যাব। এমনকি সব দিক দিয়ে ধ্বংস হতে থাকবে। এছাড়া নানা ধরনের ভয় দেখায়। আর জ্বীন মারতে হলে দুই লাখ টাকা লাগবে। এরই মধ্যে হুজুরের সহযোগী লিপু বিভিন্ন রকম এসএমএস করে। সে ভালোবাসে এমন অনেক কিছুই আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। হুজুর আমাকে অনেক গল্প শোনাতো। আমেরিকায়-লন্ডনের অনেক মেয়ের ছবি দেখাতো আর বলতো তার জন্য পাগল। তাকে বিয়ে করার জন্য মোবাইলে বিভিন্ন রকম অশ্লীল ছবি দেখা তো। এবং রোটারিয়ান পাবলিক এর একজন সদস্য হিসেবে বিভিন্ন ছবি দেখা তো এবং বলত সে আমেরিকার ভিসা পাইলে তার সঙ্গে তিন জনকে নিয়ে যেতে পারবে। ভিসার জন্য আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা নেয়। এছাড়া অনেককে আমেরিকা পাঠিয়েছেন তার ছবিও দেখায়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, গত ১০ বছরে প্রতারক কামরুল ইসলাম অসহায় মানুষদের ধোকা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। টাকার জোরে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি তার কাছে জিম্মি। এমনকি আইনের ফাক ফোকর দিয়েও তিনি পার পেয়ে যান। সবশেষ শ্লীলতাহানি মামলা হাইকোর্ট ছয় মাসের স্থগিত আদেশ দেন।

এ ঘটনায় গত ১১ জুন ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে সিলেট দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা করেন। মামলা নং ০৭। মামলাটি ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯-৪(খ) তৎসহ পেনাল কোডের ৪২০/৪০৬/৫০৩ রজু করা হয়। আসামির লোকজন বিভিন্নভাবে মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর বাদী ঢাকা মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী ও খিলগাঁও থানায় জিডি করেন। খিলগাঁও থানার জিডি নং ১৫৪৬। মতিঝিল থানার জিডি নং ১৪৪১।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App