×

জাতীয়

সুবিধাবঞ্চিতদের জীবনে সুখবর ‘জীবনতরী’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯, ০৪:৪৩ পিএম

সুবিধাবঞ্চিতদের জীবনে সুখবর ‘জীবনতরী’

ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যসেবায় ব্যতিক্রমধর্মী “জীবনতরী” ভাসমান এ হাসপাতালটি স্বরূপকাঠির (নেছারাবাদ) সন্ধ্যা নদীর ঘাটে অবস্থান নিয়ে গত আড়াই মাস ধরে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ আশপাশের কাউখালী, নাজিরপুর, ঝালকাঠি সদর ও বরিশালের বানারীপাড়া, উজিরপুর, আগৈলঝাড়া ও গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা থেকে রোগীরা এসে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। প্রতিদিন কয়েকশ রোগী উন্নত চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। আড়াই মাসে সহস্রাধিক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। ‘জীবনতরী’ হাসপাতালের প্রশাসক মো. আলাউদ্দিন জানান,এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে নিবন্ধন করা। এ হাসপাতালে নদী অববাহিকায় বসবাসকারী সুবিধা-বঞ্চিত দরিদ্র রোগীদের স্বল্প খরচে নাক, কান, গলার রোগের চিকিৎসা ও অপারেশন এবং চক্ষু রোগের চিকিৎসা, অপারেশন ও সহায়ক সামগ্রীর ব্যবস্থা, অর্থোপেডিক চিকিৎসা, কৃত্রিম হাত ও পা সংযোজন, ঠোঁটকাটা, তালুকাটা, আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা ও প্লাস্টিক সার্জারিসহ অন্যান্য সেবা দেয়া হয়। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স ও প্রয়োজনে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও আছে। এখানে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে ধাত্রী প্রশিক্ষণ, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ এবং স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করা হয়ে থাকে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতি রোগীর কাছ থেকে মাত্র ৫০ টাকা ফি নিয়ে সিরিয়ালের মাধ্যমে এমবিবিএস চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এই সেবায় নিয়োজিত ৪ জন চিকিৎসক সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকেন। রোগের ওপর নির্ভর করে তাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে অপারেশন করাসহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। অপর দিকে সাতদিনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, তারা তৃতীয়বারের মতো ১৬ জুলাই স্বরূপকাঠিতে এসেছেন। আগামী ছয়মাস চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চলবে। মানবসেবায় ব্রতী থাকা “জীবনতরী” ভাসমান হাসপাতালটি ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামক একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যা ১৯৯৩ সাল থেকে নদী পথে দেশজুড়ে কাজ করে আসছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App