×

মুক্তচিন্তা

শুদ্ধি অভিযান : প্রতিক্রিয়া ও প্রত্যাশা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৪৬ পিএম

শুদ্ধি অভিযান : প্রতিক্রিয়া ও প্রত্যাশা

প্রধানমন্ত্রী যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন এবং এ উদ্যোগের কার্যকারিতা অব্যাহত থাকবে, এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। দেশবাসী বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবেই দেশে আইনের শাসন, সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করতে চান। তার দলের নেতাকর্মী, সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর এ শুভ উদ্যোগকে স্বাগত জানালে, সমর্থন করলে ও সহযোগিতা করলে জনগণের কল্যাণ হবে, দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। তাই এ ব্যাপারে প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে

ঢাকা মহানগরীতে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে স্পোর্টিং ক্লাবগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলছে। ঢাকার বাইরে দুয়েকটি জেলায়ও অভিযান চলছে। এই অভিযান এখনো চলমান। ঢাকার ক্লাবগুলো থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্যাসিনো বোর্ডসহ বিপুল পরিমাণ জুয়া খেলার সামগ্রী, নগদ টাকা, অস্ত্র, মদ ও বিয়ার জব্ধ করে। ইয়ংমেনস ক্লাবের সভাপতি ও যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া এবং কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলমকে (ফিরোজ) গ্রেপ্তার করা হয়। যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী জি কে শামীমকে নিকেতনের তার অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর রিসিপ্টসহ আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হয়। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহীর এক সভায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কতিপয় নেতার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারপরই ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদত্যাগ করেন এবং ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত যুবলীগ নেতা ও যুবলীগ নামধারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক অভিযান চালায়। ক্লাবগুলো থেকে শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয় এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের তাৎক্ষণিকভাবে সাজা প্রদান করেন। মিডিয়ার রিপোর্ট ও প্রাথমিক বিভিন্ন তথ্য সূত্র থেকে জানা যায়, ক্লাবকেন্দ্রিক ক্যাসিনো ব্যবসা তথা জুয়া খেলার সঙ্গে কতিপয় প্রভাবশালী যুবলীগ নেতারা জড়িত। তারাই সব ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন এবং প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা আয় করতেন। এভাবে তারা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে আইনের শাসন ও গুড গভর্নরস তথা সুশাসন প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর সতর্ক বাক্য উচ্চারণ করেছেন। তিনি আট মাস পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যান্য সূত্র থেকে সামগ্রিক তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কতিপয় নেতা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন এবং তা সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছেন। এ তথ্য জানার পর প্রধানমন্ত্রী এদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলছে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান নিজ দল থেকেই শুরু করেছেন। তিনি মনেপ্রাণে চান তার নেতাকর্মীরা দুর্নীতি ও লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে জনগণের জন্য কাজ করুক। তিনি সব সময় নিজেকে জনগণের সেবক বলেন এবং তার নেতাকর্মীদের সেভাবেই নির্দেশ দেন। তার ব্যত্যয় ঘটায় তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। একজন রাষ্ট্রনায়কের গভীর দেশপ্রেম, নিজের শতভাগ স্বচ্ছতা, নৈতিক সাহস ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকলে এভাবে নিজের দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি অভিযান চালাতে পারেন না। শেখ হাসিনার মধ্যে সে গুণাবলি আছে বিধায়ই এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পেরেছেন, যা দেশবাসী স্বাগত জানাচ্ছে। স্পোর্টিং ক্লাবের কাজ ক্রীড়াবিদ তৈরি করা। ক্রীড়ার অনুশীলন ও ক্রীড়ার মানোন্নয়নের জন্য কাজ করা। যুবকদের বিনোদনের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা। একইভাবে সামাজিক ক্লাবগুলোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো সমাজ উন্নয়ন, সামাজিক দায়িত্ব পালন ও সমাজের দুস্থদের পাশে থাকা এবং সাংস্কৃতিক ক্লাবগুলোর লক্ষ্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুবকদের জড়িত করে তাদের সুস্থ পরিবেশে ধরে রেখে নির্মল বিনোদন ও সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশে সহায়তা করা। এসব লক্ষ্য নিয়েই ক্লাবগুলোর কাজ করার কথা। এখন দেখা যায় এসব লক্ষ্য বিসর্জন দিয়ে কিছু কিছু স্পোর্টিং ক্লাব ইনডোর গেমের নামে জুয়া খেলার আসরে রূপান্তরিত হয়েছে। সাধারণ জনগণের মধ্যে একটা ধারণা আছে যে, ক্লাব মানেই জুয়া খেলার জায়গা, মদ খাওয়ার জায়গা। জুয়া ও মদ ক্লাবের অনুষঙ্গ হিসেবেই অনেকে মনে করে। কিন্তু ক্লাবগুলোকে ক্যাসিনো বানানো এবং ক্যাসিনোর মাধ্যমে জুয়ার আসর বসানো এটা অতীতে কেউ দেখেনি। এটা ধারণারও বাইরে ছিল। ক্লাবকেন্দ্রিক ক্যাসিনো ব্যবসাকে ঘিরে একটি চক্র গড়ে উঠেছে। এ চক্রে শাসক দলের সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা রয়েছেন। এ অবৈধ ব্যবসার অর্থ অনেক প্রভাবশালী নেতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কোনো সদস্য ও কর্মকর্তার কাছেও যায়Ñ এমন ধরনের তথ্য গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে বলে মিডিয়া রিপোর্টে জানা যায়। শুধু প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই হবে না, নেপথ্যে থেকে যারা মদদ দিয়েছেন এবং যারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন, সে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হোক বা ক্লাব কর্মকর্তা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যই হোক বা প্রশাসনিক কর্মকর্তাই হোক সবাইকেই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। তারা তাদের অবস্থান সম্পর্কে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। আমরা অতীতে দেখেছি সামরিক সরকার ক্ষমতায় এসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে। অভিযান, গ্রেপ্তার, মামলা ইত্যাদির মাধ্যমে চমক ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরবর্তী সময় তা ঝিমিয়ে যায় এবং তাদের অনেকের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। ফলে ওই সব অভিযানে টেকসই ও ইতিবাচক প্রভাব সমাজ, রাজনীতি ও প্রশাসনে পড়েনি। এবারের শুদ্ধি অভিযান একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অতীতে কোনো রাজনৈতিক দল নিজ দলের মধ্যে এ ধরনের শুদ্ধি অভিযান করেছে বলে আমার জানা নেই। প্রধানমন্ত্রী সব কিছু বুঝেশুনে, সুচিন্তিতভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে আমার বিশ্বাস। এ অভিযান থেকে অন্যরা সতর্ক হবে এটাই কাম্য। নিজেরা সংশোধিত না হলে তাদের পরিণতি একই হবে। বাংলাদেশে জুয়া খেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনো প্রকার জুয়া খেলার অনুমতি কোনো কর্তৃপক্ষেরই দেয়ার সুযোগ নেই। অথচ জুয়া খেলার বিরুদ্ধে দেশে তেমন কোনো শক্ত আইন নেই। একমাত্র আইন ঞযব চঁনষরপ এধসনষরহম অপঃ, ১৮৬৭, যা মেট্রোপলিটন সিটি অর্থাৎ মহানগরের বাইরে প্রযোজ্য। মহানগর এলাকার জুয়া খেলার বিরুদ্ধে তেমন কোনো আইন নেই, যা পুলিশ প্রয়োগ করতে পারবে। ঞযব চঁনষরপ এধসনষরহম অপঃ, ১৮৬৭তে জুয়া খেলার অপরাধে শাস্তির বিধান খুবই লঘু। এক-দুই মাস জেল অথবা দু-একশ টাকা জরিমানা। এ আইন প্রয়োগ করে জুয়া খেলা বন্ধ বা দমনের সুযোগ খুবই কম। অতীতের ঔপনিবেশিক শাসক বা এ দেশীয় শাসক বা আইন প্রণেতা জুয়া খেলার অপরাধে কঠোর শাস্তির বিধান চাননি। তারা জুয়া খেলাকে বড় ধরনের অপরাধ মনে করেননি বিধায় কঠোর আইনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেননি। অথচ সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে জুয়া খেলা একটি বড় অপরাধ। সমাজের নেতিবাচক প্রভাব প্রকট। তাই এই আইনের সংশোধন দরকার এবং মহানগরের জন্য নতুন আইন করা বা ঞযব চঁনষরপ এধসনষরহম অপঃ, ১৮৬৭ মহানগরের জন্য প্রযোজ্য করা প্রয়োজন। যেহেতু জুয়া খেলা বাংলাদেশে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, সেহেতু জুয়া খেলার সামগ্রীও আমদানি অযোগ্য আইটেম হওয়া স্বাভাবিক। তাহলে ক্যাসিনো কীভাবে দেশের মধ্যে প্রবেশ করল। এগুলো তো বিমানবন্দর বা স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ঢুকেছে। ওই সব বন্দরে কাস্টম কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এতগুলো ক্যাসিনো দেশের মধ্যে ঢুকবে তা অস্বাভাবিক। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া অপরিহার্য। কারো কোনো সম্পৃক্ততা, উদাসীনতা বা অবহেলা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াও প্রয়োজন। স্পোর্টিং ক্লাবগুলোর কর্মকাণ্ড পরিচালনার ও খেলোয়াড়দের জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়। এ জন্য দেশের সব ক্লাবে সপ্তাহে এক বা দুই দিন হাউজি খেলার বিষয়টিতে প্রশাসনের মৌন সমর্থন থাকে। ভেতরে তাস বা তাসের মাধ্যমে সীমিত আকারে জুয়া খেলা নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ থাকে না। এগুলো ক্লাবের আয়ের উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু ক্যাসিনোর মাধ্যমে বড় ধরনের জুয়া খেলা এবং তার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করা যা কতিপয় ব্যক্তির পকেটে যায়, তা কোনোক্রমে গ্রহণযোগ্য নয়। এ বেআইনি ও সমাজবিরোধী কাজের বিরুদ্ধে সবার সোচ্চার হওয়া অত্যাবশ্যক। দেখা যায়, সব সরকারের আমলেই রাজনৈতিক নেতাকর্মী বিশেষ করে শাসক দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নানা অনিয়ম ও অপকর্মে জড়িয়ে যান। তারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বাস-লঞ্চ-টেম্পো টার্মিনাল, হাট-বাজার ও খেয়াঘাট দখল করে আয়-রোজগার করেন। সংগঠনের নেতারাও সহযোগী সংগঠনের এসব কর্মকাণ্ড বন্ধের তেমন কোনো উদ্যোগ নেন না। তারা মনে করেন দল যখন ক্ষমতায় তখন দলের লোকজন কিছু আয়-রোজগার করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হোক। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ড যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে সীমা অতিক্রম করে সে ব্যাপারে কারো মাথাব্যথা থাকে না। তাই তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এতে দলের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়। জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। মিডিয়া রিপোর্টে আরো জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে যুবলীগের ছয় শীর্ষ নেতা ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনই অন্য দল থেকে যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী। কেউ বিএনপির যুবদল থেকে, কেউ আবার জামায়াত-শিবির থেকে, কেউ জাতীয় পার্টি থেকে, কেউ ফ্রিডম পার্টি থেকে। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগে জামায়াত-শিবির ও ফ্রিডম পার্টির লোকের আশ্রয়স্থল হবে, এটা ভাবাই যায় না। কোনো যুক্তিতেই এটা মানা যায় না। অভিযোগ আছে রাজনৈতিক দলের কার্যকরী কমিটিতে ঢুকতে হলে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয়। যুবলীগে ঢুকতে নাকি পঞ্চাশ লাখ টাকাও কেউ কেউ ঘুষ দিয়েছেন। এটা পার্টির কর্মীরাই বলে থাকেন। এ ধরনের বিতর্কিত ব্যক্তিরা যুবলীগে ঢুকতে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন তা অবিশ্বাস করার কিছু নেই। তারা তো নানা অপকর্মের মাধ্যমে নিজেদের আখের গোছানোর জন্যই শাসক দল বা শাসক দলের সহযোগী সংগঠনে ঢুকে নিরাপদে অপকর্ম চালান। তাদের কাছে দলের আদর্শ বা নীতি-নৈতিকতার কোনো বালাই নেই। শাসক দলকে নিজের আশ্রয় ও অবৈধ প্রভাবের প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে অর্থ রোজগার ও প্রতিপত্তি লাভ করে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন এবং এ উদ্যোগের কার্যকারিতা অব্যাহত থাকবে, এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। দেশবাসী বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবেই দেশে আইনের শাসন, সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করতে চান। তার দলের নেতাকর্মী, সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর এ শুভ উদ্যোগকে স্বাগত জানালে, সমর্থন করলে ও সহযোগিতা করলে জনগণের কল্যাণ হবে, দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। তাই এ ব্যাপারে প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

এ কে এম শহীদুল হক : সাবেক মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App