×

বিনোদন

রাজনীতি থেকে একটু দূরেই থাকি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৩৯ পিএম

রাজনীতি থেকে একটু দূরেই থাকি

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

তিন দশকের সিনেমা ক্যারিয়ার। তবু একটুকুন বিরাম নেই। এখনো ছুটে চলছেন অবিরাম। অভিনয়, গ্ল্যামার দিয়ে মাত করছেন দর্শকদের। তিনি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কলকাতার ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় এ নায়িকা সম্প্রতি ঢাকায় শুটিং করলেন ‘জ্যাম’র। এফডিসির শুটিং ফ্লোরে বসে কথা বললেন মেলার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ জামান একটু অসুস্থ দেখাচ্ছে আপনাকে ঋতুপর্ণা : মঙ্গলবার ভোরের ফ্লাইটে এসে ঢাকায় পৌঁছেছি। এসেই শুটিং শুরু করেছি। থাকব তিন-চার দিন। এখানে আসার আগে ক’দিন সিঙ্গাপুর, কলকাতা দৌড়াদৌড়ি-শুটিং। ঢাকায় বিমান থেকে নামার আগে কাঁধে টান পড়েছে, তাই একটু ব্যথা করছে। কী করব পুরনো অভ্যাস, এভাবেই শুটিং করে যাচ্ছি। কখনো ক্লান্তি লাগে না? মনে হয় না নিজেকে একটু সময় দিই? ঋতুপর্ণা : লাগে না। তবে মাঝেমধ্যে চাপটা বেশি হয়ে গেলে ঘুমটা একটু বেশি ঘুমিয়ে নিই। মেকআপ করতে করতে, ফ্লাইটে কিংবা বাসে, ট্রেনে বা গাড়িতে আসতে আসতেও ঘুমিয়ে নিই। আমার সিঙ্গাপুরের বাড়িতে স্বামী ও ছেলে রয়েছে। সেখানে আমার অন্য একটা জীবন। হয়তো কাজটাকে মন দিয়ে ভালোবাসি বলেই থাকতে পারছি, না হলে পারতাম না। তবে কিছু সময় একান্ত নিজেকে দিই। ওই সময় বই পড়ি, সিনেমা দেখি, গান শুনি। এভাবেই নিজেকে একটু চার্জড আপ করি। ‘জ্যাম’-এ অভিনীত চরিত্র সম্পর্কে ধারণা দেয়া যায় কী? ঋতুপর্ণা : পুরো গল্পটা একজনকে ঘিরে না। দু-চারটা মুখোশ যুক্ত আছে। এখানে আমি একজন আইনজীবী। আমার একটা অতীত আছে। একটা মানুষ বিপদে পড়ে, তার জন্য ফাইট করি। মানুষের জীবনে এমন সমস্যা আসে যা ঠিকমতো ফেস না করলে অন্য মানুষের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়, প্রতিশ্রæতি ভঙ্গ হয়। এ বিষয়টাই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। আরিফিন শুভর সঙ্গে তৃতীয় কাজ, তাকে সহশিল্পী হিসেবে কীভাবে মূলায়ন করবেন? ঋতুপর্ণা : শুভ তো আমাকে তার জন্য লাকি মনে করে। এর আগেও আমি যখন ওর সঙ্গে ‘একটি সিনেমার গল্প’র কাজ করছিলাম তখনো তার সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। এখন আবার ‘সাপলুডু’। ব্যাপারটা বেশ মজার। দুজনে ‘আহা রে’ করলাম। সেটি দেশ-বিদেশের অনেক চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছে। সবাই খুব প্রশংসা করেছে। আর অভিনেতা হিসেবে ও খুব পরিশ্রমী, কাজের ব্যাপারে সিরিয়াস। আবার সেটে খুব মজা করে। ও অনেক দূর যাবে। নিজের কোনো সিনেমা দেখে কি কখনো আফসোস হয়নি, ইস! কেন যে করলাম! ঋতুপর্ণা : আমি এখন নেটফ্লিক্সে প্রচুর সিনেমা দেখি। কোরিয়ান সিনেমা, সুইডেনের সিনেমা কিংবা হলিউডের সিনেমা। জেনিফার লোপেজরা কীভাবে নিজেদের ভাঙছে। আসলে সিনেমা একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর আমি এ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে চাই। কলকাতার সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যার জায়গা দখল করছে মাল্টিপ্লেক্স। আবার নতুন জায়গা করছে ডিজিটাল নানান প্ল্যাটফর্ম। সিনেমার ভবিষ্যৎ কী আসলে? ঋতুপর্ণা : সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়। আগে আমরা যখন নেগেটিভে শুট করেছি তখন সঙ্গে সঙ্গে কী শুট হলো তা দেখার খুব একটা উপায় ছিল না। পরিচালকরা ক্যামেরার ছোট্ট ভিউ ফাইন্ডার দিয়ে দেখতেন। এরপর ডিজিটাল এল, এখন বড় মনিটরে দেখা যায়। আর এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তো বড় জায়গা তৈরি করেছে। তবে আমার মনে হয় কী, বড়পর্দার যে একটা আবেদন তা কখনই পরিবর্তন হবে না। প্রসেনজিতের মতো আত্মজীবনী লিখতে কিংবা অন্য শিল্পদের মতো রাজনীতিতে আসতে মন চায় না? ঋতুপর্ণা : রাজনীতিটা আমি খুব একটা বুঝি না। আমি ঠিক বলতে পারব না। রাজনীতি থেকে একটু দূরেই থাকি। আমার জ্ঞান নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App