বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁডিতে তার পা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:০৮ এএম
বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করা দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন ‘পথে পথে পাথর’ কবিতা। পঁচাত্তরের পটভূমিতে বাবা-মা-ভাই হারানোর বেদনাকে চিত্রিত করেছেন-
শেখ হাসিনা, আপনার বেদনা আমি জানি
জানি, দুঃখরজনী ফুরাতে চায় না সহজে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সিঁডিতে
আপনি পা রেখেছেন মাত্র।
আপনার পথে পথে পাথর ছড়ানো
পাড়ি দিতে হবে দুর্গম গিরি, কান্তার মরুপথ।
সব্যসাচী লেখক ও কবি সৈয়দ শামসুল হক লিখেছেন শেখ হাসিনার জন্মদিন স্মরণ করে লিখেছেন ‘আহা, আজ কী আনন্দ অপার!’ কবিতাখানি-
আহা, আজ কী আনন্দ অপার
শুভ শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনার
জয় জয় জয় জয় বাংলার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্নবাহু তাঁর
শুভ শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনার
পঁচাত্তরের কলঙ্কিত সেই রাত্রির পর
নৌকা ডোবে নদীর জলে
সবাই বলে নৌকা তুলে ধর
কেইবা তোলে কে আসে আর
স্বপ্নবাহু তাঁর
বঙ্গবন্ধু কন্যার
শুভ শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনার
শেখ হাসিনা সব নদীতে
দুর্জয় গতিতে
টেনে তোলেন নৌকা আনেন উন্নয়ন জোয়ার
শুভ শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনার
জাতির পিতার রক্তে দেশ
এখনও যায় ভেসে
সেই রক্তের পরশ মেখে দেশ উঠেছে জেগে
এ দেশ তোমার আমার
জয় জয় জয় জয় বাংলার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্নবাহু তাঁর
শুভ শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনার
আহা, আজ কী আনন্দ অপার!
দুই বাংলার কবি সুবোধ সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যাকে নিয়ে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ’ কবিতা। যেখানে তাকে তুলনা করেছেন নদীর সঙ্গে। এভাবে-
বাংলাদেশ
নদীর নাম রেখেছিলাম শেখ হাসিনা
কোন পাষাণ আজও বলেনি বাংলাদেশকে ভালোবাসি না।
সুখ আছে, কষ্ট আছে
আছে গরিব ভাইবোন
ও মা তোমার শীতল পাটি
বিছিয়ে দিলে কখন?
দস্যু আছে দাঙ্গা আছে ভণ্ড আছে
তোমার এই দেশে
ধান আছে প্রাণ জুড়োয় আমার
তোমার কাছে এসে।
তোমাকে ভালোবাসি
তোমার জলে, তোমার আঁচলে
মুখ লুকোতে আসি।
নদীর নাম রেখেছিলাম শেখ হাসিনা
কোন পাষাণ আজও বলেনি বাংলাদেশকে ভালোবাসি না।
কবীর চৌধুরী তার রচিত ‘শেখ হাসিনা’ কবিতায় লিখেছেন-
শেষ নেই তার সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখার
খনি খুঁজে ফেরে সদাই সুখের সবার
হারিয়ে যেতে দেবে না কভু স্বপ্নটি তাঁর
সিনথেটিক তো নয়, বাংলার মাটি জলে অতি মজবুত
নাই তার ক্ষয় বা বিনাশ, সে যে অনিন্দ্য নিখুঁত।
বঙ্গকন্যাকে নিয়ে রফিক আজাদের কবিতার নাম ‘তিনি আমাদেরেই লোক’। যেখানে শেখ হাসিনার চোখে দেশ-স্বজাতির সুখ-দুঃখের চিত্র এঁকেছেন।
তিনি আমাদেরই লোক—তাঁর চোখে এদেশের
প্রতিটি ঋতুর রূপ রঙ ধরা থাকে
বাঙলার প্রিয় মাটি-জল তাঁর নিঃশ্বাসের বায়ু।
কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা তার ‘শান্তিকন্যা শেখ হাসিনা’ কবিতায় বলেছেন—
সংগ্রামে অনন্যা তুমি, গণকন্যা, পরাজয়হীনা
শান্তির পতাকা হাতে তৃতীয় বিশ্বের নেত্রী হে শেখ হাসিনা।
কবি অসীম সাহা শেখ হাসিনার বয়ানে তাকে দেখেছেন ভিন্ন আঙ্গিকে। যেখানে আছে ক্রোধ, দেশপ্রেম ও দৃঢ়তা। স্বৈরশাসকদের উদ্দেশে বলছেন,
আমার রক্তে দ্রাবিড়, মঙ্গোলীয় ও কৌম রক্তের ধারা;
তোমরা আমাকে বধ করবে,
তোমরা আমাকে এই বাংলার শেকড় থেকে উৎপাটিত করবে
তোমরা আমাকে বৃন্তচ্যুত করে দিয়ে ফেলে দেবে অচেনা মাটিতে?
বুলবুল মহলানবীশের কবিতা ‘২১ আগস্টের রাতে তোমার জন্য’। এতে কবির উচ্চারণ-
তোমার জন্য হাসু আপা
বিনিদ্র রাত একলা বসে
অন্ধকারে লক্ষ মায়ের
জায়নামাজে কাল কেটেছে।
কবি মোহাম্মদ সাদিক তার ‘একলা হরিণ’ কবিতায় বলছেন, এই হরিণটিকে এই শ্যামল বাংলা, তার প্রকৃতি সবাই চেনে। এই হরিণটি একদা তার বাবা-মা-ভাইদের হারিয়েছে। তবে তার সঙ্গী এখন হাওড়, পাখি, শস্য, নদী ও সমুদ্র। তার দুঃখে কান্নায় বাংলার মাটি ভিজে যায়।
একটি হরিণ একলা হরিণ
দুঃখে ভরা বুক
বাপ মরেছে মা মরেছে
বিষণ্ণ তার মুখ।
শেখ হাসিনার দৃঢ়ব্যক্তিত্বের রূপটি ফুটিয়ে তুলেছেন ‘তুমি ভূমিকন্যা’ কবিতায়-
জাতিসংঘে, অগণিত বিশ্বসভায়
তোমার সাহস আর শৌর্যের প্রভায়
সাম্য মুক্তি শান্তির আকাঙ্ক্ষায়
এশিয়া-আফ্রিকা ল্যাটিন আমেরিকায়
সংগ্রামরত মানুষেরা জেগে ওঠে।
শেখ হাসিনা, জনগণমননন্দিত নেত্রী
আমাদের শাশ্বত ফিনিক্স পাখি তুমি
অগ্নিস্নানে শুচি হয়ে বারবার আসো
তুমি ভূমিকন্যা—তুমি প্রিয় মাতৃভূমি।
কবি কামাল চৌধুরী তার ‘বাঙালির সম্মান’ কবিতায় শেখ হাসিনাকে তার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মতোর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার সঙ্গে তুলনা করেছেন-
বাংলার মাটি কাদাজলে লেখা নাম
পিতার মতোই তুমি আছ পতাকায়
তোমার নৌকা পাল উড়িয়েছে স্রোতে
জনগণ আজ শেখ হাসিনার নায়।