×

মুক্তচিন্তা

যাঁর জীবন নিবেদিত মানুষের কল্যাণে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:১১ পিএম

বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাকেই পূর্ণতা দিতে চলেছেন শেখ হাসিনা। আজ এ কথা বলা যায় যে, শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের যোগ্য কা-ারি। তাঁর মধ্যেই মূর্ত হয়ে উঠছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার নেতৃত্বগুণ তাঁর ভেতর আছে। দলের মধ্যে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে, এটা সফল পরিণতি পেলে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা এক নতুন মাত্রা পাবে। আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই, তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত ভাগ হলো। জন্ম হলো পাকিস্তান ও ভারত দুটি পৃথক রাষ্ট্রের। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতেই হয়েছিল ওই ভাগাভাগি। হিন্দুর জন্য একটি দেশ, মুসলমানের জন্য আরেকটি। ভাবা হয়েছিল এভাবেই মানুষ ভালো থাকবে, সুখে থাকবে, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণ হবে। বাস্তবে তা হয়নি। ধর্ম বিশ্বাসের ভিত্তিতে দেশ ভাগের পরিণাম যে ভালো হয়নি, তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তোলা এখন অর্থহীন। মুসলমানের রাষ্ট্র পাকিস্তানে যেমন অন্য ধর্মাবলম্বীরা থেকে গেছে, তেমনি হিন্দুদের জন্য নির্ধারিত ভারতও হয়নি মুসলিমমুক্ত। আমার আজকের আলোচনা সে বিষয়ে নয়। পাকিস্তান প্র্রতিষ্ঠার মাত্র দেড় মাসের মাথায় ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে শেখ মুজিবুর রহমান এবং ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এক কন্যা সন্তান। তিনি শেখ হাসিনা, বাবা-মায়ের আদরের ‘হাছুমণি’। তিনি এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের সর্ববৃহৎ এবং পুরনো রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি।

শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আপাদমস্তক রাজনীতির মানুষ। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, জাতির জনক। তার আগেই দেশের মানুষ তাঁকে ভালোবেসে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দিয়েছিল। শেখ মুজিবের রাজনীতি শুরু হয়েছিল পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আবার কালক্রমে তিনিই পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেন। একজন মানুষ একটি দেশের জন্ম এবং মৃত্যুর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। শেখ মুজিব ছিলেন সাহসী মানুষ। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তাঁর জীবনের ব্রত। মানুষের সুখের জন্য তিনি নিজের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়েছিলেন। জেল-জুলুম, ফাঁসির মঞ্চ কোনো কিছুই তাঁকে তাঁর লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। তাঁর এই সাহস তাঁর রক্তের উত্তরাধিকারের মধ্যে প্রবাহিত হওয়াটাই স্বাভাবিক।

শেখ হাসিনার জন্ম রাজনীতির পরিবারে। তার রক্তে মিশে আছে রাজনীতি। পিতা তাকে রাজনীতির অনিরাপদ, অনিশ্চিত, ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ পথে না জড়ানোর জন্য বিয়ে দিয়েছিলেন একজন পরমাণু বিজ্ঞানীর সঙ্গে। অথচ ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, রাজনীতি থেকে দূরে রাখার পিতৃবাসনা পূরণ হলো না। বরং সেই মেয়েকেই রাজনীতিতে জড়াতে হলো, পিতার স্বপ্ন ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো’র কঠিন দায়িত্ব, ঝুঁকিপূর্ণ কাজ নিজের কাঁধে তুলে নিতে হলো।

দুই.

শেখ হাসিনার জন্ম বাংলাদেশের এক নিভৃত গ্রামে। নিজের জন্ম এবং জন্মস্থানের পরিবেশের বর্ণনা তিনি নিজে দিয়েছেন এভাবে: ‘আশ্বিনের সোনালি রোদ্দুর ছড়ানো দুপুরে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে আমার জন্ম। আমার শৈশবের স্বপ্ন-রঙিন দিনগুলো কেটেছে গ্রাম-বাংলার নরম পলিমাটিতে, বর্ষার কাদা-পানিতে, শীতের মিষ্টি রোদ্দুরে, ঘাসফুল আর পাতায় পাতায় শিশিরের ঘ্রাণ নিয়ে, জোনাকজ্বলা অন্ধকারে ঝিঁঝির ডাক শুনে, তাল-তমালের ঝোপে বৈচি, দীঘির শাপলা আর শিউলি-বকুল কুড়িয়ে মালা গেঁথে, ধুলামাটি মেখে, বর্ষায় ভিজে খেলা করে।’ এই কয়েকটি আবেগঘন লাইনই শেখ হাসিনার মানস গঠনের পটভূমি বোঝার জন্য যথেষ্ট। তার মনের যে উদারতা, বিশালতা তা তিনি পেয়েছেন বাংলার প্রকৃতির উদারতা থেকেই। বাংলা ও বাঙালির জন্য তার পরানের গহিনে যে ভালোবাসা, যে মমত্ব তা তিনি বাংলার জল-হাওয়া থেকেই পেয়েছেন। তার যে অকৃত্রিমতা তাও বাংলার প্রকৃতিজাত।

শিশুকালটা গোপালগঞ্জে কাটলেও শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন মূলত ঢাকা শহরেই কেটেছে। গত শতকের ষাটের দশক বাঙালি জাতির জন্য একটি অমূল্য সময়কাল। ষাটের দশক বাঙালির আত্মোপলব্ধি ও আত্মপরিচয় সন্ধানের এক উজ্জ্বল সময়। কেবল আইয়ুবের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে জনজাগরণ সৃষ্টি নয়, আরো নানা ঘটনাক্রমের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোও তখন ধীরে ধীরে অঙ্কুরিত হচ্ছিল। অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী ধারণা শক্তি অর্জন করে ওই সময়েই। শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আইয়ুব-মোনায়েমের চ-নীতি কার্যত তার জনপ্রিয়তাই বাড়িয়ে তুলছিল এবং তিনি হয়ে উঠছিলেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা। ছাত্র আন্দোলনেরও গৌরবোজ্জ্বল সময় হলো ষাটের দশক। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাও ছিলেন ওই সময়ের গৌরবের সমাচার রচনায় সক্রিয় যোদ্ধা। তিনি মিছিলে স্লোগানে সোচ্চার ছিলেন। কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হয়ে নিজের নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়েছিলেন। ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবেই তিনি কেবল রাজনীতির পাঠ গ্রহণ করেননি, তাঁর পরিবারই ছিল রাজনীতির বৃহত্তর পাঠশালা। বাবা শেখ মুজিব ছিলেন চির উন্নত শির। তিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে জানতেন না। জ্বলেপুড়ে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়! এই উন্নত শির, দুর্দমনীয় সাহসই শেখ মুজিবের গলায় একক জাতীয় নেতার বরমাল্য পরিয়ে দিয়ে শেখ মুজিবের সাহস সংক্রমিত হয়েছিল স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছার মধ্যেও। তাই স্বামীর কারাবাসকালে তিনি শুধু সংসারের হাল ধরেননি, বৃহত্তর আওয়ামী লীগ পরিবারেরও অভিভাবকের মতো ছিলেন তিনি। বাবা-মায়ের এই যুগলযাত্রা কন্যা শেখ হাসিনা কাছে থেকে দেখেছেন। পিতার শূন্যস্থান পূরণের চিন্তা তখন হয়তো ছিল না কিন্তু শেখ হাসিনা কখনো রাজনীতির দূরের মানুষ ছিলেন না। তিনি ছিলেন রাজনীতির কাছের মানুষ। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের যে পথযাত্রা তা তিনি দেখেছেন এবং কিছুমাত্রায় শামিলও থেকেছেন।

তিন. পিতা যখন কারাগারে, তখনই শেখ হাসিনার বিয়ে হয় এম ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে। রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চিন্তা তখন তার ছিল বলে মনে হয় না। বঙ্গবন্ধুও হয়তো চাননি তাঁর আদরের বড় মেয়ে তাঁর মতো অনিশ্চিত জীবনপথের পথিক হোক। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল ঘাতক সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশের রাজনীতির সব হিসাব-নিকাশ ওলটপালট করে দিল। বঙ্গবন্ধু এবং পরে জেলের ভেতর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেয়া, আওয়ামী লীগ যাতে আর কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা। ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনা এবং ছোট বোন শেখ রেহানা দেশে ছিলেন না। থাকলে হয়তো তাদেরও আর জীবিত রাখত না ঘাতক দল। ইতিহাসের বোধহয় এটা এক অসামান্য বিধান। ঘাতক-পাতকদের বিচারের জন্য বেঁচে থাকলেন পিতার যোগ্য কন্যারা।

১৫ আগস্টের হত্যাকা- আওয়ামী লীগকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় করেছিল। তার পর আওয়ামী লীগ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারছিল না, ভেতরের-বাইরের নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ শক্তি হিসেবে দাঁড়াতে না পারায় ১৯৮১ সালে দলের বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশনে দিল্লিতে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তিনি এক বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনেন। এক কথায় বলা যায়, তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেন। ১৯৭৫-এর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে- সেটা অনেক রাজনৈতিক পণ্ডিতের কাছেও ছিল অকল্পনীয়। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার বাইরে রাখার অপচেষ্টা অনেকেই করেছে। এমনকি দলের মধ্যেও ছিল ‘ঘর শত্রু বিভীষণ’। শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি বানিয়ে যারা তাঁর মাথায় কাঁঠাল ভাঙার ফন্দি এঁটেছিলেন তাদেরও তিনি হতাশ করেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সবাইকে এটা বোঝাতে সক্ষম হন যে, তিনি শেখ মুজিবের কন্যা, তিনি কারো হাতের পুতুল হতে পারেন না।

শেখ হাসিনা মাত্র ৩৪ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আজ তাঁর বয়স ৭৩ বছর হলো। এখন তিনি সব দিক দিয়েই একজন পরিণত মানুষ। তিনি কেবল দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগেরই সভাপতি নন, তিনি সরকারপ্রধান হিসেবেও বেশি সময়ের রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। এবার তিনি টানা তিনবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এই মেয়াদ শেষ হলে তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের ২০ বছর পূর্ণ হবে। কয়েকটি দেশে স্বৈরশাসকদের টানা দীর্ঘ সময়জুড়ে ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড থাকলেও নির্বাচিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শেখ হাসিনাই হতে চলেছেন এ ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম।

শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের এই দীর্ঘ চলার পথ ফুল বিছানো ছিল না। পদে পদে বিপদ এবং মৃত্যুর ঝুঁকি তাঁকে তাড়া করেছে। তাকে অনেক দফায় হত্যার অপচেষ্টা চলেছে। জীবন-মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে তিনি এগিয়ে চলেছেন। একজন সফল সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি আজ আন্তর্জাতিকভাবেই স্বীকৃত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে চলেছে। বিশ্বসভায় বাংলাদেশ এক ভিন্নতর মর্যাদার আসন লাভ করেছে। শেখ হাসিনা জাতির বিভিন্ন সংকটকালে সাহসী, দূরদর্শী ও সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা দেখিয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতের মতো চিরবৈরী বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও রায় কার্যকর করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ এগিয়ে নেয়া একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। সবাই যখন সংকট উত্তরণের কোনো ভালো সম্ভাবনা দেখেন না, তখনো তিনি একটা না একটা উপায় বের করে ফেলেন। কেউ কেউ মনে করেন, শেখ হাসিনার ওপর অতিনির্ভরতা ভালো লক্ষণ নয়। শেখ হাসিনা চাপিয়ে দেয়া নেতা নন। তিনি দেশের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন। তাঁর নিখাদ দেশপ্রেম তাঁকে মানুষের কাছে গভীরতর ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ করেছে। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাকেই পূর্ণতা দিতে চলেছেন শেখ হাসিনা। আজ এ কথা বলা যায় যে, শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের যোগ্য কা-ারি। তাঁর মধ্যেই মূর্ত হয়ে উঠছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।

দেশে এবং দেশের বাইরে থেকেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তবে সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ধৈর্য ও সাহস শেখ হাসিনার আছে। যেখানেই মানুষের দুর্গতি, সেখানেই শেখ হাসিনার মানবিক দৃষ্টি প্রসারিত। মিয়ানমারের শাসকগোষ্ঠীর নির্যাতনে দেশত্যাগী ১২ লাখ মানুষকে নিজের পাতের অন্নের ভাগ দেয়ার অঙ্গীকার করে তিনি যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা বিশ্ববাসীর বিবেককে নাড়া দিয়েছে। শেখ হাসিনা এমন একজন মানুষ যিনি অন্যের জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে পারেন নির্দ্বিধায়। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার নেতৃত্বগুণ তাঁর ভেতর আছে। দলের মধ্যে যে শুদ্ধি অভিযানের প্রস্তুতি চলছে, এটা সফল পরিণতি পেলে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা এক নতুন মাত্রা পাবে। আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই, তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

বিভুরঞ্জন সরকার: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App