×

সাময়িকী

একজন শেখ হাসিনার কাছে আমি ঋণী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:১২ পিএম

একজন শেখ হাসিনার কাছে আমি ঋণী
একজন শেখ হাসিনার কাছে আমি ঋণী

২৫ মার্চের কালরাত যেখানে গোটা বাংলাদেশ তছনছ করে দিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী, হত্যা করেছিল আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিকে। বুদ্ধি করে ভাই-বোনের বই খাতা উদ্ধার করতে গিয়ে যে সাহসের সাথে শেখ হাসিনা সেসব খাতাগুলো বাইরে নিয়ে এসেছিলেন সে কাহিনী দিয়ে একটি থ্রিলার বানানো যায় সহজেই।

নাম তাঁর শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতা। চারবারের প্রধানমন্ত্রী। গুগলে শেখ হাসিনার নাম দিয়ে সার্চ দিলে এমনি কিছু তথ্য পাওয়া যাবে। কিন্তু আমার কাছে একজন শেখ হাসিনার নামের মাহাত্ম্য একটু অন্যরকম। ভোরের কাগজ তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে একটি বিশেষ সংখ্যা করবে যেখানে থাকবে তাঁর সাহিত্যবোধ নিয়ে আলোচনা। ভাবছিলাম কী লিখবো? একজন শেখ হাসিনাতো আমার কাছে রাজনৈতিক নেতা হিসেবেই পরিচিত। ভাবনার জগতে একটা ধাক্কা খেলাম যখন মনের দুয়ারে ধাক্কা খেলো কেন আমি শেখ হাসিনাকে নিয়ে লিখতে চাই? কেন তিনি আমার কাছে আগের চেয়ে অনেক বেশি আপন হয়ে গেলেন? উত্তর এলো তিনিইতো হচ্ছেন সেই যিনি আমাকে এ দেশের জনককে চিনিয়েছেন। তিনি হচ্ছেন সেই যার সূত্রে আজকে আমি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শিখেছি। বলে রাখা ভালো যে, আমি ’৭৫-পরবর্তী প্রজন্ম। আমার বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধুহীন নয় কেবল, বঙ্গবন্ধু বিদ্বেষী এক বাংলাদেশকে জেনে। চারপাশে তখন বঙ্গবন্ধুর অযোগ্যতার কাহিনী, ব্যর্থতার গল্প। পারিবারিক সূত্রে জেনেছি তিনি আমাদের জাতির পিতা কিন্তু পাঠ্যপুস্তকে জেনেছিলাম তিনি কেবলি একজন নেতা যিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। জাতির পিতা শব্দটি ছিল ‘কালো’ তালিকাভুক্ত। কৈশোর, তারুণ্য পেরিয়ে যুবক বয়সে আমি পেয়েছি শেখ হাসিনাকে। আর একদম শক্তপোক্ত জ্ঞান হওয়ার পর পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী আর কারাগারের রোজনামচা বই দুটি। যে দুটি বই না হলে কেবল আজকে নয়, আগামীর বাংলাদেশও অন্ধকারে থাকতো। কে ছিলেন বঙ্গবন্ধু আর কেন তিনি আমাদের জাতির পিতা এই প্রশ্নের মীমাংসা পেতো না কেউ। চোখ দুটি যেন খুলে গেল। মনে হলো কারা যেন আমার মতো গোটা জাতির চোখে একটি আলগা পট্টি বেঁধে রেখেছিল যেখান থেকে কেবল অন্ধকারই দেখা যায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই পট্টি খোলার দায়িত্ব পালন করলেন বই দুটি জাতিকে উপহার দিয়ে। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ আর ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দুটি এক নিঃশ্বাসে পড়া শেষ করেছি। একবার নয়, বারবার পড়তে হয় এখনো কারণ প্রতিটি শব্দে, বাক্যে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সত্য-মিথ্যার হিসাব। বই নিয়ে আলোচনা এখানে নয়। তবে শেখ হাসিনা যেমন করে সাহসের সাথে জাতির পিতার লেখা খাতাগুলোকে উদ্ধার করেছেন সে ভূমিকা পড়তে গিয়ে আমার গা শিউরে উঠেছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত যেখানে গোটা বাংলাদেশ তছনছ করে দিয়েছিল পাকিস্তানি ও তাদের এ দেশের বন্ধুরা মিলে, হত্যা করেছিল আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিকে। বুদ্ধি করে ভাই-বোনের বই খাতা উদ্ধার করতে গিয়ে যে সাহসের সাথে শেখ হাসিনা সেসব খাতাগুলো বাইরে নিয়ে এসেছিলেন সে কাহিনী দিয়ে একটি থ্রিলার বানানো যায় সহজেই। পৃথিবীর আর কোনো দেশে এমন কাহিনী আছে কিনা আমার জানা নেই। থাকার কথাও নয় কারণ বাংলাদেশ হচ্ছে একমাত্র দেশ যারা স্বাধীনতার জন্য সরাসরি লড়াই করে জীবন দিয়েছে। বইগুলোর পরতে পরতে আমি পেয়েছি একজন মমতাময়ী পিতাকে, একজন রোমান্টিক স্বামীকে, একজন সাহিত্যপ্রিয় পাঠক মুজিবকে। চমকে উঠেছি জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো কেমন করে একজন তরুণ কেবল দেশকে ভালোবেসে জেলে কাটিয়ে দিয়েছিলেন। জীবনের বেশিরভাগ যার কেটেছিল জেলখানায় তার গল্প কখনোই জানার সুযোগ হয়নি আমাদের। পাতা উল্টাতে উল্টাতে পাই একজন স্বপ্নদ্রষ্টা যিনি হাজার অনৈতিকতার সামনেও হার মানেননি। চাইলেই পেতে পারতেন আরামের জীবন অথচ বেছে নিয়েছিলেন জেলের মাটিতে ঘুমানোর জীবন। কারাগারের রোজনামচা বইটি আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এ দেশের জেলখানার পরিবেশ সম্পর্কে। জেলে কতরকমের মানুষের আনাগোনা, একেকজনের একেকরকম অপরাধের বর্ণনা রয়েছে সেখানে। মৌলবাদের উত্থান নিয়ে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা আর অসাম্প্রদায়িকতার চেতনা আমাকেও উদ্বেলিত করেছে। জেলে থাকলেও একজন নেতা কেমন করে নিয়ন্ত্রণ করেছেন এ দেশের স্বাধিকার আন্দোলনকে। এও সম্ভব? ভেবেছি অনেকবার। গোটা শরীরে ব্যথায় কুঁকড়ে গেলেও আপস করেননি। ছোট্ট রাসেল যখন বাবাকে কাছে পেতে আবদার করতো তখন সেই বেদনা কেবল একজন মমতাময়ী পিতার পক্ষেই অনুধাবন করা সম্ভব। প্রিয়তমা স্ত্রীকে চুমু খেতে চাইবার যে ব্যাকুলতা কেমন করে ভুলতে পারি আমরা?

যে মানুষটির মাত্র একটি সিদ্ধান্তই যথেষ্ট ছিল আজকের এই স্বাধীন দেশের ভবিষ্যৎ আর একজন মুজিবের ব্যক্তিগত জীবনের ভবিষ্যতের মাঝে, সেখানে তিনি বেছে নিয়েছিলেন দেশ ও জাতির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার। দেশের মানুষের প্রতি এমন ভালোবাসার নজির আর কোন নেতার জীবনে পাই আমরা? আমি বড় হয়েছি ইতিহাস বিকৃতির যুগে। দেখেছি চোখের সামনে স্বাধীনতা বিরোধীদের তরতর করে উপরে ওঠার চিত্র। রাজাকারের গাড়িতে উড়েছে আমার দেশের প্রিয় লাল সবুজ পতাকা। পাকিস্তানিরা যে কাজ করতে পারেনি সে কাজ করেছিল একটি স্বাধীন দেশের নাগরিকরা। যাদের বঙ্গবন্ধু অন্ধের মতো বিশ্বাস করেছিলেন তারাই খুন করেছিল আমাদের জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারকে। কখনো জানতে পারিনি কী সেই কারণ? জেনেছিলাম সেই হত্যা ছিল জায়েজ এবং এর কোনো বিচার হবে না। দেশের প্রয়োজনেই ছিল সেই খুন। আশ্চর্য হয়ে যাই কেমন করে পারলো খন্দকার মোশতাকের মতো লোকেরা বঙ্গবন্ধুকে খুন করতে? তবে কি বিশ্বাস আর ভালোবাসাই ছিল বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা? কেমন করে সম্ভব একজন জাতির পিতাকে খুন করে ফেলা? এমন হাজারো প্রশ্নের মাঝে বড় হওয়া আমার কাছে সবকিছু পরিষ্কার করে দিলো শেখ হাসিনার উপহার দেয়া বই দুটো। এটি কেবল একজন কন্যা হিসেবে নয়, এ যেন ইতিহাসের কাছে দায় শোধের মতো একটি বিষয়। একজন শেখ মুজিব কেবল শেখ হাসিনা বা শেখ রেহানার পিতা নন, তিনি যে এই গোটা জাতির পিতা। তাই পিতাকে সামনে নিয়ে আসাটা ছিল ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখার মতো উদ্যোগ। মোটা দাগে জেনেছিলাম ১৯৫২ সালে একটি ভাষা আন্দোলন হয়েছিল, ’৬২তে শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯-এ গণঅভ্যুত্থান আর ’৭১ সালে হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। কিন্তু কোন আন্দোলনের পিছনে কী ইতিহাস, কাদের অবদান কী ছিল সেসবের কোনো আলোচনাই ছিল না কোথাও। শেখ মুজিবের নাম কেবল ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাঝেই সীমাবদ্ধ রেখেছিল ইতিহাস বিকৃতকারী বিগত সরকারগুলো যাদের নেতৃত্বে ছিল বিএনপি-জায়ামাত জোট আর তাদেরই পোষ্যরা। অথচ শেখ মুজিবের লড়াই শুরু হয়েছিল ১৯৪৮ সাল থেকেই। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার লড়াই শুরু সেই থেকেই। জেলও খেটেছেন তিনি। আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস। সে ইতিহাসের একজনই নায়ক ছিলেন এবং আছেন আর তিনি হচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই সত্যটিকে স্বীকারে বাধ্য করেছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এই কাজটি তিনি করেছেন বঙ্গবন্ধুর ডায়রিগুলোকে যত্ন করে সংরক্ষণেই নয় কেবল বই আকারে ছাপিয়ে। তিনি চাইলেই এই কাজটিকে অবজ্ঞা করতে পারতেন। পিতার স্মৃতি হিসেবে নিজের কাছে সংরক্ষণ করে রাখলেও সমস্যা ছিল না। কিন্তু না, তিনি অনুভব করেছেন এই জাতিকে মেরুদণ্ড নিয়ে দাঁড়াতে দেখতে চাইলে শেখ মুজিবের কথাগুলোকে সামনে আনতেই হবে। আর এর একটাই উপায় সেটা হচ্ছে বই হিসেবে ছাপানো। এ কাজটিও খুব সোজা ছিল না বলেই জেনেছি আমরা বইয়ের ভূমিকায়। তারপরও সাহস হারাননি দু’বোন। ধৈর্য আর সাহস নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন। বই দুটোকে আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে নিজেদের তাগিদেই। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শই নয় কেবল, তাঁর সাহিত্যবোধ, শিল্পবোধ, পিতৃত্বের চেতনা সবদিকের সঙ্গে পরিচিতি ঘটনার জন্য এই কাজটি খুব দরকার। একজন নেতা কেবল রাজনীতিতে পরিপক্ব হলেই হবে না তার ভেতরে থাকা দরকার উন্নত রুচি ও সংস্কৃতির মিশ্রণ। একজন যোগ্য মানুষ হতে গেলে তার মধ্যে কত ধরনের গুণাবলি থাকা দরকার এর সম্পর্কে জানতে হলেও জানতে হবে একজন বঙ্গবন্ধুকে। আজকে যখন আমাদের দেশে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর রাজনৈতিক কলুষতা নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি চলছে তখন বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাই পারে আমাদের সেই সংকট থেকে উদ্ধার করতে।

শেখ হাসিনা একজন যোগ্য সন্তানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন সেই দায়িত্ব আমাদের সবার। শেখ মুজিবকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে আমাদের নিজেদের স্বার্থে। যেকোনো চক্রান্তকে রুখে দিতে হলে দরকার শেখ মুজিবের শিক্ষার। আজকের শেখ হাসিনাকে যখন আমি বিবেচনা করি তখন না চাইলেও তুলনা এসে যায় বঙ্গবন্ধু কেমন চেয়েছিলেন এই বাংলাদেশকে। কী ছিল তাঁর সোনার বাংলার স্বপ্ন, তাঁর অর্থনৈতিক চিন্তা, রাজনৈতিক ভাবনা এমনকি কূটনীতিক চিন্তাও পেয়েছিলাম বই দুটোর মধ্যে। এই যে একজন দেশনেতার মানদণ্ড আমাদের সামনে দাঁড়িয়েছে এর কৃতিত্ব পুরোটাই শেখ হাসিনার। বঙ্গবন্ধু তাই নীরবে চ্যালেঞ্জ দিয়ে যাচ্ছেন তাঁর আদরের হাসুকেও। শেখ হাসিনা আজ নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় আছেন। তিনি আর বাংলাদেশ যেন আজকে অবিচ্ছিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। আমি নিশ্চিত বলতে পারি তিনি নিজের মধ্যে প্রতি মুহূর্তে অনুভব করেন পিতাকে। যে পিতা কন্যাকে ঘুমুতে দেয় না নিশ্চিন্তে। পিতার হাতে গড়া সোনার বাংলার চোখে পানি রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমানোর মতো শিক্ষা দিয়ে যাননি যে পিতা, তিনি আজ না থেকেও আছেন। আমাকে যেমন করে বাংলাদেশকে চিনতে সাহায্য করেছে শেখ হাসিনার কল্যাণে পাওয়া দুটো বই, ঠিক তেমনি একজন শেখ হাসিনাকেও পালটে দিয়েছে তাঁর পিতার রেখে যাওয়া রুলটানা খাতাগুলো। আমি হলফ করে বলতে পারি আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশের রূপকার একজন শেখ হাসিনার পথ চলায় গাইড হয়ে কাজ করছে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দুটো। আর তাই ’৭৫-পরবর্তী প্রজন্মের একজন হয়ে এই লেখার মাধ্যমে একজন শেখ হাসিনা ও একজন বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে ঋণটুকু স্বীকার করে নিচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ আর আমার স্বপ্নের বাংলাদেশের মধ্যে কোনো তফাত নেই। ভগ্নহৃদয়ে স্বপ্ন দেখা ভুলতে বসেছিলাম আমরা। হতাশ একটি প্রজন্ম বেড়ে উঠছিল। আপনি এলেন আলোর ঝলক হয়ে। আবারো হাতে কলমে দেখিয়ে দিলেন আমরা মেরুদণ্ডহীন পরনির্ভরশীল জাতি নই ঠিক যেমনটা পিতা দেখিয়েছিলেন ১৯৭১ সালে। আমরা ফিরে পেতে থাকলাম নিজেদের। আত্মমর্যাদা ভুলে যাওয়া জাতি আবারো পাল্লা দিতে থাকল দুনিয়ার সাথে। বদলে যাওয়া দুনিয়ায় আজকে আমরাও সেই বদলানোর অংশ। গোটা বিশ্ব আজ একনামে বাংলাদেশকে চেনে আপনার কারণেই। এ যেন ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি। একজন শেখ মুজিবকে দিয়ে চিনতো আমাদের। এরপর সবাই বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন দেশ আছে সেটাই জানতো না। অথচ আজকে এমন কোনো দেশ নেই যারা আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারে। আমাদের অনেক কিছু না থাকতে পারে কিন্তু আছে আত্মমর্যাদার অহংকার আর হৃদয়ে বাংলাদেশের চেতনা। এই বাংলাদেশকে স্থিতিশীল পর্যায়ে না নেয়া পর্যন্ত আপনি সুস্থ থেকে সুন্দরভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন জন্মদিনের এই শুভক্ষণে একটাই চাওয়া একজন নাগরিক হিসেবে। শুভ জন্মদিন হে প্রিয় নেতা, প্রিয় মানুষ। অসীম ভালোবাসা নিবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App