২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি ঘরেই থাকবে ক্যান্সার রোগী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:৪৯ পিএম
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সী ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) এর নিরীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যান্সার রোগের কারণে মৃত্যুর হার ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। আশংকা করা হচ্ছে, এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজন সদস্য কোন না কোন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হবেন।
মূলত ক্যান্সার রোগের একাডেমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও দেশের সাধারণ মানুষের কাছে জটিল ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা খরচ সহজলভ্য করার জন্য মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার (বিসিআরসি)। কারণ হিসেব সংস্থাটি তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার, সচেতনার অভাবসহ বেশ কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সাথে ক্যান্সার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও ব্রেইন ফাউন্ডেশন স্পেশালাইজড হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রতিনিধিদল সংসদ ভবনে সাক্ষাৎ কালে এসব তথ্য জানান।
প্রতিনিধিদল দেশে ক্রমবর্ধমান ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে তাৎক্ষণিক বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রদানের প্রয়োজনে প্রশিক্ষিত ডাক্তারদের সমন্বয়ে একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ ও সকল স্তরের মানুষের জন্য চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করার ব্যাপারে সভাপতিকে অবহিত এবং আলোচনা ও মত বিনিময় করেন।
সভায় আরো জানানো হয় যে, বাংলাদেশে নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ‘ব্রেইন ফাউন্ডেশন’ দেশের সাধারণ মানুষের কাছে স্নায়ূ রোগের সময়সাপেক্ষ চিকিৎসা খরচ সহজলভ্য করার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে একটি আধুনিক বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করার জন্য গঠিত হয়েছে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ক্যান্সার ও নিউরো চিকিৎসার মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা ব্যবস্থা দেশে প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আশীর্বাদস্বরুপ হবে। তিনি আরো বলেন, এর মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশমুখীতা দূর হবে।
এসময় ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক, স্থাপত্য অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান স্থপতি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের অনকেলজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকসহ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।