×

জাতীয়

রংতুলির কাজ চলছে প্রতিমায়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:১৭ এএম

রংতুলির কাজ চলছে প্রতিমায়

শেষ সময়ের রংতুলির আঁচড়ে স্বমহিমায় জেগে উঠছে একেকটি প্রতিমা। গতকাল চট্টগ্রামের সদরঘাট এলাকা থেকে তোলা ছবি -ভোরের কাগজ

আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সর্বত্র শারদীয় উৎসবের প্রস্তুতি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রতিমা গড়ার শিল্পালয়গুলোতে এখন চলছে প্রতিমার রংতুলির আঁচড়ের কাজ। শিল্পীর রংতুলির ছোঁয়ায় প্রতিটি প্রতিমা জেগে উঠছে স্ব-মহিমায়। তুলির শৈল্পিক আঁচড়ে জীবন্ত হয়ে উঠছে মা দুর্গা, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী, লক্ষ্মী ও মহিষাসুরের প্রতিমা। নগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, রংতুলির আঁচড়ে একেকটি প্রতিমা ফুটিয়ে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। তারা জানান, পূজার মণ্ডপের আনুষঙ্গিক কাজ প্রায় শেষ। এখন বাকি মণ্ডপের ভেতরের কাজ ও আর প্রতিমায় রংতুলি। প্রতিটি প্রতিমা রংতুলিতে ফুটিয়ে তোলার জন্য প্রতিমা শিল্পীদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। মৃৎশিল্পী অমর পাল বলেন, রথের পর থেকে তারা বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু করেন। প্রতিমা গড়তে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে ১৫-২০ দিন সময় লাগে। কাঠ, বাঁশ, খড়, এঁটেল ও বেলে মাটি দিয়ে মূলত প্রতিমা বানানো হয়। পূজার দিন যত ঘনিয়ে আসছে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা বাড়ছে তত বেশি। প্রত্যেক শিল্পীরা চান নিজের তৈরি প্রতিমা অন্যের চেয়ে সুন্দর ও শৈল্পিক করে তুলতে। তাই তো তারা মনের মাধুরী মিশিয়ে এখন দুর্গা প্রতিমাসহ বিভিন্ন প্রতিমার অবয়ব দিচ্ছেন। চট্টগ্রাম শহরের ঐতিহ্যবাহী হাজারী গলি পূজা নিয়ে কাউন্সিলর জহুরলাল হাজারী বলেন, আমাদের প্রতিমা তৈরি ও রং-তুলির আঁচড় সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে গেট নির্মাণ ও সাজসজ্জার কাজ। লাইটিং ২-৩ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট চন্দন তালুকদার বলেন, নগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দেবী মায়ের আগমনী বার্তা উপলক্ষে সকাল থেকে প্রার্থনা ও সঙ্গীত বাজানো হবে। তিনি বলেন, বিশ্বশান্তির কল্যাণে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় পূজা। এ উপলক্ষে প্রতিটি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। পূজামণ্ডপগুলোতে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবীরাও থাকবেন নিরাপত্তা বিধানে। মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রীপ্রকাশ দাস অসিত বলেন, এ বছর চট্টগ্রাম শহরে ২৭০টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গা উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। উৎসবকে ঘিরে যাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে সে বিষয়ে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সর্তক করে দিয়েছে পূজামণ্ডপগুলোকে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও নজরদারি করবে বলে জানানো হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App