×

জাতীয়

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনের কথা বললে পুরুষরা লাফিয়ে ওঠে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:৫৫ পিএম

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনের কথা বললে পুরুষরা লাফিয়ে ওঠে

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনের কথা বললে অনেক সময় দেখা যায় পুরুষরা লাফিয়ে ওঠে। কিন্তু এক্ষেত্রে ভাইকেও রেহাই দেয়া হবে না এমন মন্তব্য করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, নারীরা এগিয়ে আসলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাজ সম্পূর্ণ হবে। এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার (সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে যৌথভাবে কেয়ার বাংলাদেশ ও উন্নয়ন সমন্নয় আয়োজিত ‘কর্মস্থলে নারীর অবদান ও সুরক্ষা : আইএলও কনভেনশন ও জাতীয় নীতিমালা শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উন্নয়ন সমন্বয় এর চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সঞ্চালনা এবং সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য শিরীণ আখতার, সংসদ সদস্য ফরিদুল হক দুলাল, সংসদ সদস্য সেলিমা আহমেদ, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট খোদেজা হোসেন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সভাপতি শাহ মো. আবু জাফর, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল হোসাইন, বিলস এর নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান, কেয়ার বাংলাদেশের উইম্যান অ্যামপাওয়ারমেন্ট এর পরিচালক হোমায়রা আজিজ, গ্রীন বাংলা ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কেয়ার বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়া চৌধুরী। সংলাপের বিষয় উপস্থাপন করেন কেয়ার বাংলাদেশের অ্যাডভোকেসি কো-অর্ডিনেটর আসিফ ইমরান খান।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে হলে শেখ হাসিনার পদক্ষেপকে এগিয়ে নিতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, শোষিত বঞ্চিত মানুষের পাশে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি শোষণ বঞ্চনাহীন একটি স্বাধীন দেশ আমাদের দিয়ে গেছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি। আজ শেখ হাসিনাও সেটিই চান। সেই পথে অনেক দূর এগিয়েছেন। মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

আতিউর রহমান বলেন, কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা এবং যৌন হয়রানি নির্মূলে আন্তর্জাতিক শ্রম কনভেনশনে আমরা অনুসমর্থন দিয়েছি। এখন তার বাস্তবায়ন দরকার। এক্ষেত্রে সচেষ্ট সমাজের কোনো বিকল্প নেই। কারণ সচেষ্ট সমাজই পারে অনাচার দূর করতে।

পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলের কর্মসূচি গ্রহণের পরামর্শ জানিয়ে শিরীণ আখতার বলেন, পাঁচ বছরের শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধা যৌন নির্যাতনের শিকার। এমনকি সচিবালয় থেকে শুরু করে গার্মেন্টস কর্মীও এর থেকে রেহাই পাচ্ছে না। স্বামীর কাছে স্ত্রী নয়, সন্তানও আজ নিরাপদ নয়!

বক্তারা বলেন, নারীরা বড় বড় পদ দখল করলেই নারী নির্যাতন কমে যাবে না। এখানে নামেই ট্রেড ইউনিয়ন আছে কিন্তু গার্মেন্ট শিল্পের ৩৫ বছরেও কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি। নারীরা অফিসের জিএম থেকে শুরু করে ফেসবুক, ইমোর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ৮ হাজার টাকা বেতন বাড়ার পর কাজের চাপ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে দ্বিগুণ, মাতৃত্বকালিন ছুটির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য, গর্ভবতী মাকে কাজের চাপ বাড়িয়ে দিয়ে কৌশলে বিদায় দেয়া হয়, এমনকি অনেককে শূন্য হাতেও বিদায় করে দিচ্ছে।

এসব বন্ধে সংগঠিত হতে হবে। ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের সাথে সাথে দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন করতে হবে। সংগঠিত হয়েছিল বলে বাঙালি এতো বড় মুক্তিযুদ্ধ করতে পেরেছিল বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App