×

আন্তর্জাতিক

কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০২:৫০ এএম

কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বিভিন্ন উদ্যোগে অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য সকল দেশের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমি সকল দেশের প্রতি কার্বন নিঃসরণ নিয়ে তাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পদক্ষেপে অর্থায়নের আহবান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের কনফারেন্স কক্ষ নং ৭ এ গ্লোবাল কমিশন অন এ্যাডাপটেশন (জিসিএ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান। বৈঠক আয়োজনের জন্য নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের সময়ের সবথেকে গুরুতর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে রয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ক্রমাবর্ধমানভাবে আমাদের সভ্যতার ক্ষতি সাধন করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি অনিঃসরণকারী দেশ এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতা এবং সামর্থের স্বল্পতা থাকার পরেও বাংলাদেশ স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে তাঁর সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সাম্প্রতিকালে আমাজনের জঙ্গলে আগুন এবং বাহামা দ্বিপপুঞ্জে ঘূর্ণিঝড় ডরিয়ান সমগ্র বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দেয় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা বিধ্বংসী রূপ নিতে পারে। আমরা দুটি ক্ষেত্রে সংগ্রাম করে যাচ্ছি। প্রথমত, ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে, দ্বিতীয়ত যেসব অঞ্চলে পর্যাপ্ত ক্ষতি সাধিত হয়ে গেছে সেখানে অভিযোজন ব্যবস্থা গ্রহণে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল কমিশন অন এ্যাডাপটেশন’র (জিসিএ) প্রতিষ্ঠার একটি অংশ হতে পেরে বাংলাদেশ আনন্দিত, যা অভিযোজন ব্যবস্থা উদ্ভাবন করতে এবং বিদ্যমান সেরা অনুশীলনগুলো পরষ্পরের মাঝে ভাগ করতে সহায়তা করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা জিসিএ’র ঢাকা কার্যালয় স্থাপনের ঘোষণায় আরো আনন্দিত কেননা আমাদের অভিজ্ঞতা এবং অঙ্গীকার নিয়ে জিসিএ বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বড় আকারের কার্যকর অবদান রাখতে সক্ষম হবে। শেখ হাসিনা বলেন, এই অফিস অন্যান্য জিসিএ আন্তর্জাতিক অফিসসমূহের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হবে। অভিযোজন বিষয়ে তাদের সেরা অনুশীলণের উদাহারণ টেনে তিনি বলেন, ‘কমিশনের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত ঢাকা বৈঠক সেই অপার সম্ভবনাই দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কমিশনকে, কো-চেয়ার এবং কমিশনারদের ‘ফ্লাগশিপ রিপোর্ট’ প্রণয়নের জন্য অভিনন্দন জানান। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ, এটি জলবায়ু পরিবর্তনে এবং পানিজনিত বিভিন্ন হুমকি এবং চ্যালেঞ্জের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভবনাকে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নেদারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ডেল্টা পরিল্পনা-২১০০ প্রণয়ন করেছে।’ ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’র স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা জিসিএ বাংলাদেশ, এটির সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলন এবং অর্থ সংস্থান করতে কাজ করবে বলেও শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন, পরিবেশ বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App