×

জাতীয়

আদালতে এনআইডি জালিয়াত চক্রের দুই জনের স্বীকারোক্তি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৪:৪৬ পিএম

জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি এনআইডি তৈরি চক্রের সদস্য ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া শাহনূর মিয়া এবং মোস্তফা ফারুক চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে গতকাল বুধবার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শাহনূর মিয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পদে কর্মরত। আর জালিয়াত চক্রের অপর সদস্য মোস্তফা ফারুক ভোটার হালনাগাদের কাজে অস্থায়ী ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অধীনে কাজ করছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, আদালতে শাহনূর মিয়া ও মোস্তফা ফারুক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি এতে আরো লোকজন জড়িত বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে এই এনআইডি জালিয়াত চক্রের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের শুধু কর্মচারীই নয়, বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও যে জড়িত তা ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের গঠিত তদন্ত কমিটি, দুদক ও পুলিশের তদন্তে প্রাথমিকভাবে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে শাহনূরকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে আটক করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। মঙ্গলবার তাকে এনআইডি কেলেঙ্কারির ঘটনায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর গতকাল বুধবার আদালতে হাজির করলে শাহনূর জবানবন্দি দেন।

গ্রেপ্তার হওয়া মো. মোস্তফা ফেনী সদর উপজেলার দমদমা গ্রামের মো. ইলিয়াছের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০১৯’-এ যুক্ত ছিলেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর মোস্তফা ফারুককে গ্রেপ্তারের পর তার বাসায় অভিযান চালিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। একই মামলায় তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App