×

সাহিত্য

‘আনাচারে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:০৯ পিএম

‘আনাচারে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে’
‘আনাচারে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে’
‘আনাচারে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে’

গত কয়েকদিন ধরে যা ঘটছে তাতে দেশের মানুষ বিস্মিত। সামাজিক, রাজনৈতিক নানা অনাচার প্রতিদিন ঘটছে, সেটা সকলেই জানে। কিন্তু সেই আনাচার যে এতো ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে গেছে তা আমাদের জানা ছিল না। জানা ছিল না খেলার ক্লাবে আসলে ক্যাসিনো চলছে। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছে না থেকে ব্যবসায়ী সহ অনেক অসৎদের হাতে চলে গেছে। তারা নানাভাবে অনাচারে লিপ্ত। আমরা এই অভিযানকে সাধুবাদ জানাই। ঠিক একইভাবে এটাও জানতে চাই কে কে কারা কারা কিভাবে এই সকল আনাচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কিভাবে দলে, গোষ্ঠীতে, ক্ষমতায় আসলো। এদের প্রতেক্যের মুখোশ উন্মোচিত হবে। পাশাপাশি এটাও বলতে চাই, সব কাজে প্রধানমন্ত্রীকেই কেন পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসতে হয়। তাহলে দেশে নানা জায়গায় এত সব বিভাগ, এতো কর্মকর্তা তারা কেন আছেন? তারা চোখে কেন এসব আগেই ধরা পড়ে না।

সামাজিক অনাচার, নৈরাজ্য, মাদক, নারী নির্যাতন, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার-সামাজিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ অভিযান রচনায় দেশব্যাপী সংস্কৃতিকর্মীদের সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীতে এই সমাবেশের মূল আয়োজনটি হয় সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমিতে। একযোগে এই সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশেন, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, পথনাটক পরিষদ, চারুশিল্পী সংসদ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ সঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, জাতীয় কবিতা পরিষদ, পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশন ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট (আইটিআই) এর সাম্মানিক সভাপতি ও নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্রের সভাপতি ও নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান ও নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী, পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও শিল্পী ফকির আলমগীর, নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, থিয়েটার ডিরেক্টরস ইউনিটির আহ্বায়ক অনন্ত হিরা, চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি কামাল পাশা চৌধুরী, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পদক কামাল বায়েজীদ, নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী, মোহাম্মদ বারী, বাচিকশিল্পী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।

রামেন্দু মজুমদার বলেন, ঢাকা শহরের খেলার ক্লাবগুলোও ক্যাসিনোর দখলে চলে গেছে। জুয়ার আসরে পিরণত হয়েছে। যুব সমাজের জন্য এটি ভয়ংকর ব্যাপার। চলমান অভিযান নিয়েও নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা বলতে চাই বাংলাদেশের মানুষ এই দুর্নীতিবাদ, জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে সোচ্চার আছে, সংস্কৃতিকর্মীরা সোচ্চার আছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই অভিযান যেন অব্যাহত থাকে।

নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, হাঁটে, মাঠে ঘাটে যেখানে যাই সেখানেই গেলে দেখা যায় মাদক। দুর্নীতি, আনাচার চলছে আমরা জানতাম। কিন্তু এর মহাউৎসব চলছে তা আমাদের জানা ছিল না। এভাবে একটি সমাজ চলতে পারেনা। দায়িত্ব ছিল আমাদের সরকার, প্রশাসন, আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর। সবাই ব্যর্থ হয়েছে। আমরা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে এক দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছি। চূড়ান্ত এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যে অভিযান তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরা এই অভিযানের সঙ্গে আছি। আমরা অবাক হই যখন খেলার ক্লাবে ক্যাসিনো দেখি। যারা এসবের সঙ্গে জড়িত আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করি।

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, এভাবে সমাজে অনাচারের স্তুপ তৈরি হবে আর সংস্কতিকর্মীরা অনাচারের আবর্জনা পরিস্কার করেই যাবে এটা হতে পারেনা। সবক্ষেত্রেই আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তাহলে স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় রাজনীতিবিদরা কি করেন? আমরা সংস্কৃতিকর্মীরা এই ধরণের অভিযানকে সাধুবাদ জানাই।

গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ঢাকা শহরে ৬০টিরও বেশি ক্যাসিনো রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পরিচালিত হচ্ছে, এটা আমাদের জানা ছিল না। এই অভিযান আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এই অভিযানের মধ্য দিয়ে সন্ত্রসীরা ঘা ঢাকা দিয়েছে। আরও যারা নেপথ্যে থেকে এ ধরণের আনাচা, অসামাজিক কার্যকলাপকে সহযোগিতা করছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App