স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে গত ১৬ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রীর বৈঠকের পরে পুঁজিবাজারে অব্যাহত পতন ছিল। যাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছিল। এই পরিস্থিতিতে গতকাল রবিবার পুঁজিবাজারে বড় উত্থানের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। এ দিন উভয় পুঁজিবাজারে সব সূচক বেড়েছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯২১ পয়েন্টে। ডিএসইতে অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৫০ ও ১৭৬৭ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫১টি কোম্পানির মধ্যে ১৮৫টি বা ৫৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ১০৬টি বা ৩০ শতাংশ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬০টি বা ১৭ শতাংশ কোম্পানির। এ দিন ডিএসইতে ৩০৪ কোটি ৭২ লাখ ৫৫ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৮০ কোটি ২৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা কম। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৮৪ কোটি ৯৬ লাখ ২৭ হাজার টাকার। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। এ দিন কোম্পানির ৩৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে মুন্নু জুট স্টাফলার্সের ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এবং ১১ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেএমআই সিরিঞ্জ। লেনদেনে এরপর রয়েছে- ন্যাশনাল টিউবস, ফরচুন সুজ, স্কয়ার ফার্মা, মুন্নু সিরামিক, ওয়াটা কেমিক্যাল, ইউনাইটেড পাওয়ার এবং স্টাইলক্রাফট।অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এ দিন ২০৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে। এ দিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির দর। গতকাল সিএসইতে ১৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।