বিএনপিকে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যা দিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির মুখে নীতিকথা অনেকটা ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ এর মতো। তাদের মুখে নীতিকথা মানায় না। তারা দুর্নীতির মাধ্যমে হাওয়া ভবনকে ‘খাওয়া ভবন’ এ পরিণত করেছিলো।

সোমবার (২৩সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির চেয়ারম্যান এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী এবং সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।

চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, তাদের সবাইকেই চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং হবে। এমনকি নিজ দলের অনেক নেতার বিরুদ্ধে এখন দুদকের মামলা চলছে। শেখ হাসিনা কখনও তাদের দুর্নীতি মামলার জামিনের জন্য ওকালতি করেন না। কারণ তার কাছে দুর্নীতির কোনো স্থান নেই।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা একটু একটু করে আলো জ্বালিয়ে রাখছেন। শেখ হাসিনা আমাদের নেত্রী, কিন্তু তিনি আমাদের সবার অনেক উপরে। আমাদের অতিক্রম করে তিনি বহু উপরে উঠে গেছেন। এমনকি তিনি নিজেকেও অতিক্রম করেছেন। তিনি এখন আমাদের সবার মতো শুধু পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে ভাবেন না, তার ভাবনাটা পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে সৎ, দক্ষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি। বাংলাদেশ থেকে দুইজন ব্যক্তি কখনও হারিয়ে যাবেন না। একজন বঙ্গবন্ধু এবং আরেকজন শেখ হাসিনা। যতদিন বাংলার জনপদ থাকবে ততদিন তারাও থাকবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যেরকম আদর্শ ও মূূল্যবোধের রাজনীতি বঙ্গবন্ধু করে গেছেন, আমাদের রাজনীতিতে সেটির অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমাদের রাজনীতিতে সৌজন্যতাবোধের বড়ই অভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। এদিকে ছাত্রলীগের দায়িত্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। শেখ হাসিনা চান ছাত্রলীগ ভালো খবরের শিরোনাম হোক। এসময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করার জন্য বর্তমান প্রজন্মের ছাত্র সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা কোন কিছুতে ভীত না হয়ে অকুতোভয়ে দেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সত্যি সত্যি তিনি বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী।

জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার রাজনীতি দেখেছি। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক ছিল। শেখ হাসিনা ও বেবি মওদুদের কথা আমরা জানি। তাদের মধ্যে সেসময় থেকে বেবি মওদুদের মৃত্যু পর্যন্ত ভাল সম্পর্ক ছিল। এটি বর্তমান ছাত্রনেতাদের জন্য একটি অনুস্মরণীয় বিষয় হতে পারে।

তিনি বলেন, একজন শিক্ষকের জীবনে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার অতিরিক্ত আর কিছু পাওয়ার থাকে না। আমরা যারা শেখ হাসিনার শিক্ষক ছিলাম তারা তা পেয়েছি এবং পেয়ে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, বাংলাদেশ ছত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপাসহ অন্যান্যরা।