×

অপরাধ

রাতের আঁধারে ‘উধাও’ হন ক্যাসিনো এক্সপার্ট নেপালিরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:৪৫ পিএম

র‌্যাবের অভিযান চলাকালেই রাতের আঁধারে পালিয়ে গেছেন দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনায় যুক্ত থাকা নেপালি জুয়াড়িরা। অভিযোগ উঠেছে তাদের গোপনে সটকে পড়ার পেছনে সহায়তা করেছে স্বয়ং পুলিশের কিছু অসাধু সদস্য। ধারণা করা হচ্ছে, টাকার বিনিময়ে বিদেশি জুয়াড়িতে তথ্য দিয়ে পালাতে সহায়তা করা হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর ফকিরাপুলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার মালিকাধানী ইয়ংমেন্স ক্লাবে ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাব। এরপর সন্ধ্যায় গুলশানের বাসা থেকে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে যখন চারদিকে তোলপাড় চলছে ঠিক তখনই নেপালি জুয়াড়িদের পালাতে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে পুলিশ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ভাড়ায় থাকা ছয় নেপালি নাগরিকের ফ্ল্যাট থেকে তিন ব্যক্তি বেরিয়ে আসার পরই একে একে পালিয়ে যায় বিদেশি জুয়াড়িরা। পাশাপাশি আরো দুটি ফ্ল্যাট থেকে মোট ১৯ বিদেশি জুয়াড়ি রাতের আঁধারে ভেগে যায়। এর আগে পুলিশ পরিচয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই বাড়িতে ঢোকেন ওই ব্যক্তিরা। ঢোকার সময় শূন্য হাত থাকলে বের হওয়ার সময় ছিল একটি ব্যাগ। তাদের আচরণও ছিল সন্দেহজনক। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ২১ সেপ্টেম্বর ওই ফ্ল্যাট থেকে জব্দ করেছে র‌্যাব সদস্যরা। ২২ সেপ্টেম্বর র‌্যাব সূত্র এসব তথ্য জানায় গণমাধ্যমকর্মীদের। সূত্রমতে, রাজধানী জুড়ে ৬০টির মতো ক্যাসিনো চলতো। এসব চালাতেন নেপাল থেকে ভাড়া করে আনা জুয়াড়িরা। শতাধিক নেপালি এ কাজে জড়িত ছিলেন। যাদের বেশিরভাগই থাকতেন সেগুনবাগিচায়। গত ১৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনা সম্পর্কে সেগুনবাগিচার ওই বাসার উজ্জ্বল আলী নামে এক নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাদা পোশাকে তিন ব্যক্তি বাসার গেটে এসে জানান, তারা বিদেশিদের ফ্ল্যাটে যাবেন। পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদের পুলিশের লোক বলে জানান। তাদের হাতে ছিল ওয়াকিটকি। নাম জানতে চাইলে তারা বলেন, বিদেশিরা তাদের আগে থেকে চেনে, কোনো সমস্যা নেই। ফ্ল্যাটে ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর তারা ব্যাগ হাতে বেরিয়ে আসেন। এরপরই মধ্যরাতে তিন ধাপে বেরিয়ে যায় নেপালি জুয়াড়িরা। বিদেশিরা ফ্ল্যাট থেকে বের হওয়ার সময় আবার আসবে বলে জনিয়ে যায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App