×

জাতীয়

রোহিঙ্গারা ভোটার, জড়িত ইসির ১৫ কর্মকর্তা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:১৮ পিএম

রোহিঙ্গারা ভোটার, জড়িত ইসির ১৫ কর্মকর্তা

রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক ও কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের ১৫ জন কর্মচারী কর্মকর্তা জড়িত থাকার কথা স্বিকার করলেন জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের ভোটার করার কাজে কত জন সম্পৃক্ত এ মুহুর্তে নাম বলতে চাই না। আমরা পর্যায়ক্রমে তাদের নাম প্রকাশ করব। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে এর সঙ্গে কতজন জড়িত। তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার স্বার্থে আমরা এখনই তাদের নাম প্রকাশ করছি না। তবে এই সংখ্যা ১৫ এর মত, এর অধিক নয়। তবে দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য যা যা করতে হয় তাই করব বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, ইসি জিরো টলারেন্স এগেইনেস্ট করাপশন। আর এটি বাস্তবায়ন করতে এন্টি কাউন্টার টেরিজম, সিইডি, দুদক, এসবির সহায়তা প্রয়োজন হয়। আমরা তাদের সহায়তা নেব। তিনি বলেন, এনআইডির মুল ডেটাবেজ সুরক্ষিত আছে। যারা এখানে ঢুকার অপচেষ্টা করেছিল তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

সর্বোচ্চ কোন লেভেলের কর্মকর্তারা একাজে জড়িত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অচিরেই আপনারা তাদের নাম পরিচয় জানতে পারবেন। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গদের ৬১ জনের তালিকা পেয়েছি যারা ভোটার হওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাদের তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে- তারা কিভাবে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করল। কারা তাদের সহযোগিতা করল। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন. ইসির এনআইডি বিভাগ অনিয়ম দুর্নীতি করতে শুদ্ধি অভিযানে নেমেছে। এনআইডিকে সুরক্ষিত করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেয়া দরকার আমরা তাই করব।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের মুল ডেটাবেজ সুরক্ষিত আছে। যারা এখানে ঢুকার অপচেষ্টা করেছিল তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে আইটি বিভাগ এই অপচেষ্টাকারীদের চিহ্নিত করেছে। আমরা কাউকে ছাড় দেব না।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটারও হওয়া ঠেকাতে ইসির কর্মকর্তাদের বদলি করা হবে। যাতে তারা একই জায়গায় দীর্ঘদিন কাজ করতে না পারে। একই সঙ্গে আমাদের নিবন্ধন কর্মকর্তাদের পাসওয়ার্ড অন্যরা ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য কড়া নজরদারি করা হবে। যদি কেউ হস্তান্তর করে তাহলে এই ব্যর্থতার জন্য শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ২০১২ সালে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থেকে ৪টি এবং বিভিন্ন সময় আরো তিনটি ল্যাপটপ হারিয়েছিল। এইসব ল্যাপটপ দিয়ে ইসির সার্ভারে প্রবেশ করা যাবে না। কারণ সার্ভারে প্রবেশের জন্য ইসি নির্ধারিত পাসওয়ার্ড দেয়া মডেম লাগবে। তবে চাকুরীচ্যুৎরা ইসির নজরদারীতে রয়েছে বলে জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App